মানবিক মানুষ ডা. তাহসীন বাহার সূচনা

একজন চিকিৎসক ও সমাজকর্মী
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। একজন চিকিৎসক ও সমাজকর্মী। তিনি তরুণ প্রজন্মের আবেগ, ভালোবাসা ও নানা উদ্দীপনার নাম। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক। স্ব-উদ্যোগে স্ব-অর্থায়নে কোনো ধরনের অনুদান ছাড়াই সংগঠনটি প্রতি বছর মেডিক্যাল ক্যাম্প, ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প, করোনায় ২০ হাজারের বেশি অসহায় পরিবারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেছে। জাগ্রত মানবিকতার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সূচনা তাঁর বাবার উদ্যোগে নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে কাজগুলো করেন। এ ছাড়া বড় কয়েকটি কাজ অনেকটা অগোচরেই করে গেছেন।

তিনি কুমিল্লা মিশনারী স্কুল থেকে মাধ্যমিক, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ময়নামতি থেকে এমবিবিএস পাশ করে মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি জেলার ১৭ টি উপজেলায় জাগ্রত মানবিকতা কাজ করছে নিয়মিত। প্রতিনিয়ত তরুণ-তরুণীরা যুক্ত হচ্ছেন এ প্লাট ফর্মে। শহরের আশ্রম, এতিমখানা, মাদ্রাসায় তাদের সহযোগিতা নিয়মিতই যায়। করোনার সময়ে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বাবার ফোন ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে
নিম্ন-মধ্যবিত্তদের খাবার পাঠিয়েছেন। লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ হাজারো মানুষের খাদ্য ও পাঁচ হাজার অস্বচ্ছল মানুষের পনেরো দিনের খাবার দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া অক্সিজেন ব্যাংক ও প্লাজমা সহায়তা করেছেন শতাধিক মানুষকে।

নারীর জন্য তারা ফ্রি অ্যাডভোকেসি, তাদের পাশে দাঁড়ানোর আয়োজন আর সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে তাদের সেমিনারের মাধ্যমেও উৎসাহিত করেছেন ডা. সূচনা।

২০২০ সালে কুমিল্লা জেলার সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে জাগ্রত মানবিকতা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনাকে জয়িতা সম্মাননা-২০২০ প্রদান করা হয়।

তার মানবতাদরদী কাজের জন্য ২০২১ সালেরু ২০ ফেব্রুয়ারি “সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন কর্তৃক তাকে বিশেষ সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।

এ ছাড়াও ডা. তাহসিন বাহার সূচনাকে তার কাজের অবদান ও অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পার্সনস (টিওওয়াইপি) অ্যাওয়ার্ড-২০২১, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্ট আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পদক দেওয়া হয়।

জাগ্রত মানবিকতা ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

মানবিক ব্যক্তিত্ব ডা. তাহসীন বাহার সূচনা বলেন, আমরা কাজ করি মানবিক সমাজ গঠনে। আমি স্বপ্ন দেখি, একজনও হাত পাতবে না মানুষের কাছে। রক্তদানের ক্যাম্পেইনে আমাদের শিরোনাম স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাঁচুক মানব প্রাণ। আমরা এতে প্রতিপাদ্য দিয়েছিলাম, শুভ চেতনার ধমনী কখনো রক্তশূন্য হয় না।

লেখক : মিজানুর রহমান, (সৌদী আরব প্রবাসী ) সাবেক জি এস , ছাত্র সংসদ, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট।