মুন্সিগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে খাবার হোটেল ভাঙচুর, মালিককে মারধর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে একটি খাবার হোটেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বেধড়ক মারধরে হোটেলের মালিক, কর্মচারীসহ চারজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে পঞ্চসার ইউনিয়নের বণিক্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- হোটেল মালিক আলমগীর ঢালী (৪৫), তার মা আসিয়া বেগম (৭৫), কর্মচারী হারুন (৪৫) ও কাজীমুদ্দিন (৫০)। তাদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বণিক্যপাড়া এলাকার ভুলু সৈয়ালের ছেলে ইকবালের নেতৃত্বে কনক, আলামিনসহ চার/পাঁচজন আলমগীর ঢালীর খাবার হোটেলে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ইকবাল ও তার সহযোগীরা হোটেলের আসবাবপত্র ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। তখন তাদের বাধা দিলে আলমগীর ঢালী, তার মা আসিয়া বেগম এবং দুই কর্মচারী হারুন ও কাজীমুদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মারধরের শিকার আলমগীর ঢালী বলেন, সন্ত্রাসী ইকবালের নেতৃত্বে কনক, আলামিনসহ চার-পাঁচজন আমার হোটেলে প্রবেশ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন আমি ওদের জিজ্ঞাস করি কিসের চাঁদা, কেন চাঁদা দেবো? এরপরই ইকবালসহ তার সহযোগীরা হোটেলের আসবাবপত্র ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। আমাকে ও আমার মাসহ হোটেলের দুই কর্মচারীকে মারধর করে।

তবে চাঁদা দাবি ও হামলার বিষয় অস্বীকার করে ইকবাল হোসেন বলেন, ওই দোকানসহ কোনো দোকানেই আমি চাঁদা চাইনি। কয়েকদিন আগে আমি আলমগীরের এক শুভাকাঙ্ক্ষীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, পঞ্চসারের বণিক্যপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে একটি খাবার হোটেল ভাঙচুর, কর্মচারীকে মারধরের খবর পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।