ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে কয়েকটি দোকান। সেখানকার দোকানিরা বলছিলেন, তাদের দোকানের পাশেই ময়লার ভাগাড় থাকায় দুর্গন্ধে তারা অতিষ্ঠ। দ্রুত এর প্রতিকার চান তারা। জামানসহ এসব দোকানিদের মতো এ সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী শত শত মানুষের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গা (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষেই হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ফলে এর দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলা দায় হয়ে পড়েছে। ময়লা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুরো এলাকা দূষিত করছে।
এতে পরিবেশ দূষণসহ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। স্থায়ী ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। এসব ফেলার জন্য স্থায়ী জায়গা খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিমে সিএনজি স্ট্যান্ডের পাশ ঘেঁষেই ময়লার ভাগাড়। পাশেই ওষুধ ও খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চার পাশে রয়েছে ঘনবসতি। পাশের সড়ক দিয়ে পথচারীদের নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জালাল মিয়ার ভাষ্য, এখানে স্ট্যান্ড হওয়ায় বাধ্য হয়ে ময়লার পাশেই তাদের অটোরিকশা রাখতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তা ছাড়া যাত্রীরাও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে চান না। ফলে কম যাত্রী নিয়েই তাদের অটোরিকশা ছাড়তে হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, খোলা জায়গায় ময়লা ফেললে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি মানুষেরও শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধ নাক দিয়ে মানুষের পাকস্থলীতে গিয়ে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এতে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এনামুল হক ও শিশু বিশেষজ্ঞ আবদুল্লা আল মামুন বলছেন, এ ধরনের পরিবেশে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খোলা জায়গা থেকে মশা-মাছিও জন্মায়। তাই এভাবে খোলা স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ইউএনও সিফাত উদ্দিন বলেন, ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান না থাকায় সড়কের পাশে ফেলছে লোকজন। এগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য নিচু খাস জায়গা খুঁজছে উপজেলা প্রশাসন।