ফের ৩ শিক্ষকের পদত্যাগ, উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

কুবি প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসন, শিক্ষকদের উপর হামলা ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের অপসারণের দাবিতে ফের ৩ শিক্ষক পদত্যাগ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদের ১৮ জন পদত্যাগ করেছেন। এদিকে উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন করে পদত্যাগ করা ৩ শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মোছা. আশিখা আক্তার, সহকারী প্রক্টর মো. মোশাররফ হোসাইন। তারা প্রত্যকেই উপাচার্যপন্থি শিক্ষক হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

পদত্যাগের বিষয়ে আশিখা আক্তার বলেন, শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমি পদত্যাগ করেছি। সাহেদুর রহমান বলেন, উপাচার্য কর্তৃক সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ও আমাকে না জানিয়ে উপাচার্যের করা থানার অভিযোগে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে। এজন্য আমি পদত্যাগ করেছি। একই কথা বলেছেন মো. মোশাররফ হোসাইনও। তিনি জানান, আমি প্রক্টরিয়াল বডিতে থাকার কারণে নাকি আমাকে সাক্ষী বানানো হয়েছে।

এদিকে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক সমিতি। এসময় প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী তাদের সাথে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকদের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য। উপাচার্য বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল করেছে। বিভিন্ন অনিয়ম করার কারণে বারবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে সংবাদের শিরোনাম হতে হয়েছে। আমরা এমন উপাচার্য চাই না। বরিশালের গরু চোর কোষাধ্যক্ষকেও আমরা এই ক্যাম্পাসে চাই না। তাদের যদি এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা এখনই ক্লাসে ফিরে।

এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন অস্টেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে ক্যাসিনো মঈন নামে পরিচিত। সেখানকার বারে যাকেই জিগাসা করবেন ক্যাসিনো মঈন কে? প্রত্যকেই বলবে, হি ইজ ফ্রম বাংলাদেশ। তবে আমি উনাকে মাতাল বলব। উনি নারীদের নির্যাতন করেন। শুধু তাই নই, তিনি শিক্ষার্থী বহিষ্কার করেছেন, সাংবাদিক বহিষ্কার করেছেন। এসব বিষয়ে যতবারই কথা বলেছি, তিনি আমাকে বলেছেন ঐখানে আমার আত্মীয় আছে, এখানে আমার আত্মীয় আছে।