মুরাদনগরে আওয়ামীলীগ নেতার অত্যাচারে ঘরছাড়া তিন পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামীলীগ নেতার অত্যাচারে ঘরছাড়া তিন পরিবার। অত্যাচার করে উল্টো বানোয়াট মামলা করেছেন ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে। তার দেয়া বানোয়াট মামলার জামিন নিয়েও বাড়ি ফিরতে পারছেন না তারা। আশ্রয়হীন ওই তিন পরিবারের সদস্যরা কেউ কুমিল্লায়, কেউ ঢাকায় পথেঘাটে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অথচ গ্রামে রয়েছে তাদের অনেক সহায় সম্পদ। এমন অব¯’ায় ওই নেতার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ও নিজেদের প্রিয় বাড়িতে ফিরতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামান করেছেন ওই তিন পরিবারে সদস্যরা। সকালে কুমিল্লায় এসে তারা সাংবাদিকদের কাছে এ কামনা করেন।

তাদের অভিযোগে এবং মামলা পাল্টা মামলার আরজি থেকে জানা গেছে, মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ মুন্সী একজন মাদকের কারবারের সাথে জড়িত। ওই তিন ব্যক্তি তার মাদক কারবারে বাধা দিলে তাদের উপর হামলা করে। একই সময়ে ইউনুছ মুন্সীর মাদক সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হলে এক পর্যায়ে দৈয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল খায়ের, মো. সুরুজ মিয়া ও মো. খোকন মিয়ার বাড়ি ঘরে দলবল নিয়ে হামলা করে ভাংচুর করে। সেই সাথে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। একই সাথে তাদের ৫ একর জমি দুইটি পকুরসহ দখল করে নেয়। তাদের তিন পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরলে নির্যাতন ও গুমের হুমকি দিচ্ছেন ইউনুস মুন্সী। ফলে তারা আতংকগ্র¯’ হয়ে পড়েছেন।

এ ঘটনার পর গত দুইমাস ধরে তারা আর বড়ি ফিরতে পাছেন না। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভবঘুরের মত বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। নিজেদের জমি থাকার পরও কেউ রিকশা চালিয়ে, কেউ শ্রমিকের কাজ করে খেয়ে না খেয়ে জীবন-যাপন করছেন। বন্ধ হয়ে আছে শিশু সন্তানদের পড়াশোনা।
ইউনুস মুন্সী অত্যান্ত প্রভাবশালী বলে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এমতাবস্থায় তারা সরকার প্রশাসনের ও কাছে নিজেদের নিরাপত্তা ও নিজেদের বাড়িতে নিশ্চিন্ত বসবাসের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইউনুছ মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের মাধ্যে একটি গন্ডগোল হয়েছিল, ওই গন্ডগোলের পর তারা এখন বাড়ি ফিরে না। তিনি বলেন, তাদের বাড়ি ফিরতে কোন বাধা দেই না। ভাইরাল হওয়া মাদকের ভিডিওর বিষয়ে তিনি বলেন, চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১২ বছর আগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আমি শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হই। এর পর আর কোন সম্মেলন হয়নি। আমি এখনো ওই অছি।