মুরাদনগরে কৃষক হত্যায় সাবেক চেয়ারম্যান পিচ্চি কামাল সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আমার জায়গা দখল করে ব্রিকফিল্ড গড়ে তুলে পিচ্চি কামাল - বীরমুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মিয়া
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতের-অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি জোর-জবরদ¯িত করে কেটে নিচ্ছিলেন প্রভাবশালী একটি মহল। এমন সময় কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব নবীপুর ইউনিয়নের গকুল নগরে নিজের কৃষি জমির মাটি রক্ষা করতে বাঁধা দিলে মাটি খেকোরা ওই জমির মালিক খোকন মিয়া (৫৫) নামের ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পিচ্চিজ কামালসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪ জনের বিরুুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়।

এই ঘটনায় নিহত কৃষক খোকন মিয়ার ছেলে কাইয়ুম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর থেকে আসামিরা নিহত খোকন মিয়ার ছেলেকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তাই তিনি মুঠোফোন বন্ধ রেখে আইনের আশ্রয়ে বর্তমানে আছেন।

এই হত্যা মামলার ৩নং আসামি সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের ব্যপারে ওই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মিয়া বলেন, সে তো একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। আমার জায়গা দখল করে ব্রিকফিল্ড গড়ে তুলে। এই পিচ্চি কামাল ২৬ বছর ধরে আমার জায়গা দখল করে রাখে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সহযোগিতায় ১ একর জায়গা ফেরত পাই। আর বাকি জায়গা এখনো পাইনি

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নিহতের ছেলে কাইয়ুম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।এখন পর্যšত কোনো আসামি ধরা পরেনি। কারণ ঘটনার পর থেকে আসামিরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।আশা করি অতি শীগ্রই তাদের আটক করতে সক্ষম হবো।
নিহত কৃষক খোকন মিয়ার ছেলে কাইয়ুম বলেন, আমাদের জমি পত্তন দেওয়া হয়েছিলো কামাল চেয়ারম্যানের কাছে। এ নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ ছিলো না। হঠাৎ শুনি আমাদের জমির মাটি নাকি কামাল চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের কাছে বিক্রয় করে দিছে।পরে আমি কামাল চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন জমিতে থাকা তার অতিরিক্ত মাটি বিক্রয় করেছে এবং আমরা যেন বাধা না দেই। উনার কথা অনুযায়ী গিয়াস ও তার ছেলে রনিকে আমাদের পক্ষ থেকে কয়েকবার বাধা দিলেও তারা রাতের আধারে ভেকু দিয়ে জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছিলো।

উল্লেখ্য, বুধবার(১৮ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে অন্যদিনের মতো মাটি কাটায় বাধা দেওয়া হলে গিয়াস ও তার ছেলে রনি আমার বাবা এবং আমাকে বেধরক মারধর শুরু করে।একপর্যায় তারা আমার বাবার তলপেটে সজোড়ে লাথি মারলে তাৎক্ষণিক মাটিতে লুটিয়ে পরে।পরে তাকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত ঘোষণা করে। আমি আমার বাবার খুনিদের দৃষ্টাšতমূলক শা¯িতর দাবি করছি।