যক্ষ্মা নিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য

কুমিল্লায় নাটাবের মতবিনিময় সভায় বক্তারা
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) কুমিল্লা জেলার আয়োজনে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার নগরীর কান্দিরপাড়স্থ একটি রেষ্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাটাব কুমিল্লার সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শাহাজাদা এমরানের সঞ্চালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ এবং অনুষ্ঠানে রির্সোস পার্সন ছিলেন কুমিল্লা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ডা. মিজানুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাটাব কুুমিল্লার নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. আতোয়ার রহমান, নাটাব কুমিল্লার যুগ্ম সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লার সভাপতি ইয়াসমীন রীমা,কুমিল্লা প্রেস ক্লবের সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ, নাটাবের কমিউনিকেশন অফিসার বিচিত্র চন্দ্র দাস , ফিল্ড অফিসার মাসুদ হাসান প্রমুখ।

কুমিল্লা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ডা. মিজানুর রহমান প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন,কুমিল্লায় জিনস্পার্ট মেশিন , এক্স-রে মেশিন , দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ল্যাব ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছে। বক্ষব্যাধি ক্লিনিক ও ব্র্যাকের সহযোগীতায় ফ্রি সেবা নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, নাটাব যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে কাজ করছে। আধুনিক উন্নত চিকিৎসার ফলে যক্ষ্মারোগ আজ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তবে নির্মূল হয়নি, তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি স্ত্রী থেকে পৃথক বিচানায় থাকতেন। সে সময় যক্ষ্মার চিকিৎসা উন্নত ছিলো না। এ সময়ে যক্ষ্মার চিকিৎসা উন্নত। বাংলাদেশে যক্ষ্মার সকল সেবা বিনামূলে পাওয়া যায়। তাই যক্ষ্মা নিয়ে কোন ভয় নেই। এটি গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে আমরা যক্ষ্মা ভয় থেকে জয় করতে পেরেছি। তাই যক্ষ্মা নিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

সভায় অতিথিরা আরো বলেন, তামাকে ব্যবহার বা ধূমপান যক্ষ্মার অন্যতম কারণ। একজন ধূমপায়ী অন্য একজন ধূমপায়ীকে প্রকাশ্যে ধুমপাত করতে নিষেধ করেন। এটা নাটাবের অবদান। ধূমপানে সচেতনতা তৈরি করেছে নাটাব।