কুমিল্লা জেলা লাকসাম বিএনপির আহবায়ক আবদুর রহমান বাদল। যুবদলের দুই নেতাকে লাঞ্ছিত করার অজুহাতে ১১ নভেম্বর (সোমবার) পৌরসভা যুবদল প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মিছিল থেকে লাকসাম বণিক সমিতির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মজির আহমেদর রাইস মেইলে অবস্থানরত আবদুর রহমান বাদলের উপর মজির আহমেদের সামনেই আবুল কালাম ও মজির আহমেদের অনুসারীরা হামলা করে। হামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রহমান বাদলের মাথা ও চোখে গুরুতর আঘাত পায়। আহত অবস্থায় লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
এই ঘটনায় উপজেলা ব্যাপি চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, লাকসাম মনোহরগন্জে আবুল কালামের অদূরদর্শী নেতৃত্বের কারনে (কুমিল্লা- ৯) লাকসাম -মনোহরগন্জে বিএনপিতে অন্তকোন্দল চরম আকার ধারন করেছে।
এই ঘটনায় লাকসাম মনোহরগন্জে বিএনপির সাধারণ নেতা কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেন। লাকসাম মনোহরগন্জে বিএনপিকে গ্রুপিং করার জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করেন সাধারণ নেতা কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বহিষ্কার করে লাকসাম মনোহরগন্জে বিএনপিকে বাচানোর আহবান জানান।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানানা, আবুল কালামের ডান হাত হিসাবে পরিচিত মোশাররফ হোসেন মশু ও সফিউল লাকসাম জুড়ে চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করছে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই আওয়ামী ও বিভিন্ন মানহানিকর কথা এবং হুমকি দমকি দিচ্ছে, লাকসামের বিভিন্ন বাজারের ইজরা অবৈধভাবে দখল করা, বাজার কমিটির নামে বাজারে চাঁদাবাজি করা, আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যাবসা দখল করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লাকসামের সাধারণ মানুষ বিএনপির উপর আস্থা হারাচ্ছে। এখনই কোন ব্যবস্হা না নিলে,বিএনপি অধ্যুষিত এই আসন হাতছাড়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এমনটি বলছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।