সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার ৫০ গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। সুরেশ্বর দরবার শরিফে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেও দেন না পশু কুরবানি। তবে তাদের অনুসারীরা কেউ কেউ কুরবানি দেন বলে জানা গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার প্রধান ও বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠ প্রাঙ্গণে।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী বলেন, আমরা শুধু ঈদ না সব ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করি।
তিনি আরো বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠ প্রাঙ্গণে শরীয়তপুরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার ৫০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে সুরেশ্বর দরবার শরীফে পশু কুরবানি দেয়া হয় না। ঈদের জামাত শেষে শাহ্ সুরেশ্বরীর (র.) অনুসারীরাদের নিয়ে খিচুড়ি, সেমাইসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ঈদ উদ উদযাপন করে থাকি।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের গদিনশীল পীর কামাল নূরী বলেন, সুরেশ্বর দরবার শরিফে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেও এখানে পশু কুরবানি দেয়া হয় না। তবে অনুসারীরা কেউ কেউ কুরবানি দিয়ে থাকেন।