শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গে কুমিল্লায় অবসান হলো পরিবারতন্ত্রের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবার কুমিল্লার ১০ উপজেলায় অবসান হয়েছে পরিবারতন্ত্রের। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা, সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অপসারণের পর ঘটে এই অবসান। সরকারের ক্ষমতা পরিবর্তণের সঙ্গে বদলে গেছে মসনদের রাজত্ব্য। বিচ্যুতি ঘটেছে পারিবারিক নেতৃত্বের। কুমিল্লা-৬ আসনের টানা চারবারের এমপি ছিলেন আ ক ম বাহাউদ্দিন। এ বছরের গেল ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তারই জ্যেষ্ঠ কন্যা ডা. তাহসীন বাহার সূচনা। কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মজিদ। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। এ আসনের হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তার স্ত্রী রেহানা মজিদ। কুমিল্লা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন তার ছেলে আহসানুল আলম সরকার কিশোর। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীতে তার ছোট ভাই মামুনুর রশীদ, নির্বাচিত হন দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে। এবংতাদের পিতাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ২০২০ সালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান আবু তাহেরের মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে জয়ী হন এম এ জাহের। এর চার বছর পর জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ আসনে হন সংসদ সদস্য। আর ওই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান হন তারই ভাতিজা আবু তয়্যইব অপি। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল। কুমিল্লা-৯ আসনে টানা চারবারে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মো. তাজুল ইসলাম। ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে দুই মেয়াদে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন, তার ভাতিজা মো. আমিরুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, তাজুল ইলামের শ্যালক মহব্বত আলী টানা তিনবার লাকসাম উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। কুমিল্লা ১০ আসনের টানা চারবারসহ ৫ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন সাবেক অর্থ মন্ত্রী লোটাস কামাল। লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তার আপন ভাতিজা কামরুল হাসান শাহীন। এছাড়া তার ছোট ভাই গোলাম সারোয়ার তিন মেয়াদে সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে পালিয়ে যাবার পর থেকে পলাতক রয়েছেন এরা সবাই।