সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ছাত্রদের মারধর, ৩ টিটিই বরখাস্ত , হাতজোড় ক্ষমা প্রার্থনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

টিকেট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আসা ছাত্রদের কাছ থেকে মুল ভাড়ার দ্বিগুণ ভাড়া চাওয়ার প্রতিবাদ করলে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিটিই ছাত্রদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে লাকসাম জংসনে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিচার দাবী করেন রেলষ্টেশনে শুয়ে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। পরবর্তীতে রেলকর্তৃপক্ষ, লাকসাম উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যাস্থায় ছাত্ররা অবরোধ তুলে নিলে রাত(১৬ আগস্ট) ৯টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে ছাত্রদের মারধর করা টিটিই তাদের কাছে হাতজোড় ক্ষমা চান । পরবর্তী পর্যায়ে রেলকর্তৃপক্ষ তিন টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বিরতিহীন আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ওঠেন। স্টেশনে এসে অনেকেই টিকেট পাননি। পরে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ায় তারা বিনা টিকেটে ট্রেনে উঠে পড়েন।
তাদের অভিযোগ, ট্রেনের টিটিই আমিনুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত জেআরআই) টিকিট চেকিংয়ের সময় শিক্ষার্থীদের কাছে ৪০৫ টাকার ভাড়া ৮১০ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে টিটিই আমিনুলের বাগবিতন্ডা হয়। পরে দুই ছাত্রকে মারধরও করেন তিনি। রাত পৌনে ৮টার দিকে ট্রেনটি লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনে থামিয়ে টিটিই ১০-১২ জন ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে দেন।
এ ঘটনার জেরে শতাধিক শিক্ষার্থী ট্রেন থেকে নেমে রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এতে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এসময় তারা টিটিই’র হাতে মারধর ও হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিচার দাবি করে স্লোগান দেন।
খবর পেয়ে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিআরএম আবুল কালাম চৌধুরী, কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) মুহিতুল ইসলাম, লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন খন্দকার ঘটনাস্থলে আসেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন।
পরে জড়িত টিটিই’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তারা। এছাড়া টিটিই আমিনুল ইসলাম হাতজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে রাত সোয়া ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিআরএম আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ‘টিটিই আমিনুল ইসলাম ও তার দুই সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’