কুমিল্লায় দুইদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের, শীতে কাবু হচ্ছে হতদরিদ্ররা

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।।
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

কুমিল্লায় দুইদিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের।জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ শীতের ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে কনকনে শীতে জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। এতে করে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।

শুক্রবার বেলা ১টায় ঘন কুয়াশায় সড়ক, মহাসড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানগুলোকে হেডলাইন জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে দেখা গেছে।

জানা যায়, হিমেল হাওয়া ও শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলার নিম্ন আয়ের মানুষজন পুরাতন কাপড়ের বাজারে ভিড় করছেন। শহরের বিভিন্ন মার্কেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে স্বল্প আয়ের মানুষের ভিড়। এতে করে

বিক্রি বেড়েছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এদিকে তীব্র শীত আর গরম কাপড়ের অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। নগরীর কান্দিড়পাড়সহ আশপাশ এলাকায় শ্রমিকদের ভিড় থাকলেও কাজ নেই।

এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দুইদিন সূর্যের দেখা মিলবে না। যার কারণে দিনের স্বাভাবিক তাপমাত্রা চেয়ে একটু বেশি শীত অনুভব হবে। যেমন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্ৰি সে. আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০. ৮ ডিগ্ৰি। শনিবারও একই অবস্থা বিরাজ করার কথা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গোমতীর পাড়ের কৃষক আবু তাহের বলেন, ঠান্ডা বাতাস ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে আলু ও সবজি খেতের পরিচর্যা করতে হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ, শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নাই। তাই ঠান্ডার মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে।
পুরান কাপড় কিনতে আসা এক শ্রমিক বলেন, কঠিন ঠান্ডা পড়েছে। এতো ঠান্ডায় কাজ করতে পারি না। কনকনে শীতের কারণে সুয়েটার কেনার জন্য এসেছি। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছি না।

মাহমুদ নামে আরেক শ্রমিক বলেন, শীতে কামকাজ তেমন নাই। সে সকাল থেকে বসি আছি। কামকাজে কেউ নিতেও চায়না।

কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, আগামী দুইদিন সূর্যের দেখা মিলবে না। যার কারণে দিনের স্বাভাবিক তাপমাত্রা চেয়ে একটু বেশি শীত অনুভব হবে।