ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা গেছে, দুই ঘণ্টার আগুনে প্রায় ৪৩টি কক্ষ পুড়েছে। যেসব কক্ষের ভেতরে একের অধিক দোকান রয়েছে। সেই হিসেবে শতাধিক দোকান হতে পারে। এতে প্রাথমিক ক্ষতি ৪৩ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফায়ার সার্ভিস কুমিল্লার চান্দিনা স্টেশন অফিসার অনয় ঘোষ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মিষ্টির দোকানের চুলা আগুন থেকে আগুন ছড়িয়েছে। তবে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ দাহ্য পদার্থ। বিশেষ করে ওই এলাকাটায় বেশি কাঠের পাটাতন ছিল। এ ছাড়াও পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য থাকায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায়।
তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়েছি ১১ টা ৫০ মিনিটে। ১২টার মধ্যেই আমরা পৌঁছাতে পারতাম কিন্তু সড়কে যানজট ছিল। তাই আরও সামান্য সময় লেগেছে।
অনুমোদন নিয়ে দোকান তৈরি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই অবৈধভাবে এসব স্থাপনা তৈরে করা হয়েছিল। একটির সঙ্গে অন্যটির কোনও দূরত্ব ছিল না। তাই আগুনও দ্রুত ছড়ায় আর ক্ষতিও বেশি হয়। আমরা আগে অনেকবার তাদের মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। এবং সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি।
উল্লেখ্য, রাত সাড়ে ১১টার কিছু সময় পর হঠাৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া চান্দিনার মাধাইয়া বাজারে একটি মিষ্টি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপরে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিসের চান্দিনা স্টেশনের দুই ইউনিট খবর পেয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। কিন্তু তারা একা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে দাউদকান্দি স্টেশনকে কল দিলে সেখানকার দুই ইউনিট যুক্ত হয়। রাত ১২টা ২০ মিনিটে ওই চার ইউনিট ব্যর্থ হলে খবর আসে কুমিল্লা স্টেশনে। সেখানকার দুই ইউনিট তাৎক্ষণিক ছেড়ে যায় স্টেশন। কিন্তু বিপত্তি বাধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া মাধাইয়া বাজারে আগুন লাগায় জনতার ছুটাছুটি ও ব্যবসায়ীদের মালামাল সড়কে রাখায় বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়ক।
তাই মাঝপথেই যানজট সৃষ্টি হয়। কয়েক কিলোমিটার যানজটে আটকে যায় সব পরিবহন। আটকে যায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও। এতে ফায়ার সার্ভিসের কুমিল্লা স্টেশনের গাড়ি দুইটিও আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্বে যুক্ত হয়।