মাইকিং করে প্রার্থীদের সতর্ক করলো কুমিল্লা নির্বাচন অফিস : দিল ৯ নির্দেশনা

কুসিক নির্বাচন
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

স্টাফ রিপোর্টার ।। আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় কি করতে পারবেন এবং কি করতে পারবেন না তা জানিয়ে পুরো নগরী মাইকিং করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় চলে এই প্রচারণা। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কুসিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী ।

মাইকিং করে প্রার্থীদের যে ৯টি নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করল নির্বাচন অফিস সেগুলো হলো, ১. মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। ২. প্রত্যেক প্রার্থী পাঁচজনের অধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না। ৩. প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচার শুরু করতে পারবেন না প্রার্থীরা। ৪. প্রচারকালে পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো প্রকার জনসভা বা শোভাযাত্র করতে পারবেন না। ৫. প্রচারের জন্য নির্ধারিত পোস্টার সাদাকালো রঙের হতে হবে এবং সেটির আয়তন ৬০ ও ৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি হতে পারবে না। ৬. নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী পোস্টার বা লিফলেটে নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারও নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার বা লিফলেটে ছাপাতে পারবেন। ৭. মেয়র পদের প্রার্থীরা প্রত্যেক থানাধীন এলাকায় একটি করে সর্বোচ্চ দু’টির অধিক নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা একটির অধিক নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। ৮. নির্বাচনি প্রচারণায় কোনো প্রকার গেট, তোরণ, আলোকসজ্জা ব্যবহার করতে করতে পারবেন না প্রার্থীরা এবং ৯. এছাড়াও সিটি করপোরেশন (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর অন্যান্য বিধিবিধান অনসরণপূর্বক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে প্রার্থীদের।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পর সবচেয়ে বড় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমিল¬া সিটি করপোরেশনে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) স্যার প্রতিনিয়ত মোবাইলফোনে কল করে আমাকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আমি সততা ও নিরপেক্ষতা দিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই কুমিল্লা নগরবাসীকে। শতভাগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমার চেষ্টার কোন কমতি থাকবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত আচরণবিধির বিষয়ে কুমিল্লা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিমালা প্রচার করা হয়েছে। প্রযোজনে প্রার্থীরা নির্বাচন অফিসে এসে বিস্তারিত যেন যাবেন। তবে কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় এবং তা প্রমান হয় সেক্ষেত্রে আমরা ওই প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করবো।