“সঠিক সময়ে যক্ষা শনাক্ত ও চিকিৎসা নিলে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব”

সেমিনারে বক্তারা -
তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে

নাটাব কুমিল্লা আয়োজিত “যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা নিলে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বর্তমানে চিকিৎসার মাধ্যমে যক্ষ্মায় মৃত্যুহার ৯৮ শতাংশ কমে গেছে, যা প্রমাণ করে যক্ষ্মা হলে মৃত্যু অবধারিত এ ধারণা এখন অমূলক। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সেমিনারে বক্তারা জানান, সরকার বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা প্রদান করছে। যারা হাসপাতালে যেতে অনিচ্ছুক, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে কাশি থাকলে যক্ষ্মা রোগের শঙ্কা তৈরি হয়। শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে এ তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

রোববার কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ অধ্যক্ষ পরমানন্দ গোস্বামীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটাব কুমিল্লার প্রধান উপদেষ্টা ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটাব কুমিল্লার সভাপতি ডা. মো. গোলাম শাজাহান, সহসভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত বাবুল, নির্বাহী সদস্য জামিল আহমেদ খন্দকার, আলহাজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ এবং রিলায়েন্স বহুমুখী কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হায়দার মজুমদার।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাটাব কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহাজাদা এমরান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা কৃষি ও কারিগরি কলেজের গণিতের প্রশিক্ষক তৈয়বুর রহমান সোহেল। সেমিনারে কলেজের ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত বক্তব্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় কলেজের প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা ও তাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।