আমোদ সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর দেখানো পথে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে যাবে: মফিজুর রহমান বাবলু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

দেশের প্রাচীন সংবাদপত্র আমোদ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর ২৮ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে সোমবার দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তার মধ্যে ছিলো বিষ্ণপুর কবরস্থানে কবর জিয়ারত, শাকতলা সুলতানে মদিনা মডেল মাদ্রাসায় দোয়া ও বিকালে টাউন হল কনফারেন্স রুমে স্মরণ সভা। সংসদের সভাপতি ডা. গোলাম শাহজাহানের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু। তিনি বলেন, মানুষ এখন পড়তে চায় না। আমরা অনেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তবে তার আত্মজীবনী না পড়ে সুকেসে সাজিয়ে রাখি। নিজেকে বঙ্গবন্ধু প্রেমী বলে প্রচার করি। না পড়লে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করা যাবে না। আমোদ সম্পাদক তার পত্রিকার মাধ্যমে এই অঞ্চলে পাঠক সৃষ্টি করেছেন। তার আদর্শ সততার কারণে তার পত্রিকা ৬৮ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে। তার দেখানো পথে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ^াস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম,জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ¦ ওমর ফারুক, ছড়াকার শিক্ষাবিদ জহিরুল হক দুলাল,আমোদ‘র সাবেক প্রতিনিধি চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের জেএম শাখার উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন বাবুল। বক্তব্য রাখেন সংসদের নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, সংসদের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান, বদরুল হুদা জেনু, ডা.ইকবাল আনোয়ার,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম মিল্লাত ও কৃষকবন্ধু মতিন সৈকত। ধন্যবাদ জানান সংসদের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল। পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর একমাত্র ছেলে আমোদ‘র বর্তমান সম্পাদক বাকীন রাব্বী। শুভেচ্ছা জানান সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা এমরান। উপস্থাপনা করেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা।
আমাদ পরিবারের সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ইন্তেকাল করেন। ১৯২৫ সালের ১ জুন তিনি কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে। তার পিতার নাম এ এফ এম মোহাম্মদ আসাদ, মাতা সৈয়দা ফখরুন্নেসা। ১৯৫৫ সালের ৫মে থেকে কুমিল্লায় মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ‘আমোদ’ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন। আমোদ ছিল পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ক্রীড়া সাপ্তাহিক। পরে তা সাধারণ সংবাদপত্রে রূপ নেয়। চলতি বছর আমোদ তার নিয়মিত প্রকাশনার ৬৮ বছরে পদার্পণ করেছে। মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর পর আমোদ প্রকাশনার দায়িত্ব নেন তার সহধর্মিনী শামসুন নাহার রাব্বী। বর্তমানে তার একমাত্র ছেলে বাকীন রাব্বী পত্রিকার সম্পদনার দায়িত্ব পালন করছেন।