একটি সড়কে দূর হয়েছে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

এন এ মুরাদ ।।
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মেটংঘর – শ্রীকাইল সড়কের কাজ শেষ হওয়ায় দূর হয়েছে উত্তর মুরাদনগরে লাখো মানুষের দুর্ভোগ। এই সড়কটি খানাখন্দে ছিলো ভরপুর। যখন তখন গাড়ি উল্টে যেতো। মানুষ চলাচলের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা দেখে সড়কটির দিকে নজর দেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (এফসিএ)। তিনি এলজিইডির মাধ্যমে ৫কিলোমিটার সড়ক ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। কাজটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হক ইন্টারন্যাশনাল। ২০২২ সালে কাজটি শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই সম্পন্ন হয়। নবরূপে সজ্জিত ওই সড়ক এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, মেটংঘর – শ্রীকাইল এই সড়ক নির্মাণের ফলে পাল্টে গেছে উত্তর মুরাদনগরের যোগাযোগের চিত্র। মুরাদনগরের উত্তরে বাঙ্গরা বাজার থানায় রয়েছে ১০ ইউনিয়ন। ওই ১০ ইউনিয়নে বড় সড়ক পাকা করার বাকি নেই । সড়কটি পুনরায় পাকা করণে দূর হয়েছে আকাবপুর এবং শ্রীকাইল ইউনিয়নের জনগণের রাস্তার ভোগান্তি ।
সড়কটি হওয়ায় সোনাকান্দা দারুলহুদা বহুমুখী কামিল মাদ্রাসা ও শ্রীকাইল সরকারী কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি। সড়কটির বেহাল দশার কারণে সোনাকান্দা দারুলহুদা দরবার শরীফের ভক্তবৃন্দরা দীর্ঘদিন কষ্ট পেয়েছেন। তারা পাঁচ কিলোমিটার সড়ক পায়ে হেটে দরবারে আসা যাওয়া করতেন। সড়ক উন্নয়নে দূর হয়েছে ভক্তদের দীর্ঘদিনের কষ্ট।

শ্রীকাইল সরকারী কলেজের সমাজকর্ম বিষয়ক প্রভাষক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি কোম্পনীগঞ্জ হতে প্রতিদিন কলেজে আসা-যাওয়া করি। মেটংঘর রাস্তাটি হওয়ায় কম সময়ে যাতায়াত করতে পারি। তবে ঘোড়াশাল একটি ব্রীজের অবস্থা নাজেহাল । ব্রিজটি হয়ে গেলে ওই সড়কে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়ি থেকে বের হয়ে যেদিকেই যাই মেটংঘর-শ্রীকাই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। সড়কটি নির্মাণ করায় আমাদের যাতায়াতে আর কোন দুর্ভোগ নেই। আশে পাশে সব সড়কই ভালো।
ঠিকাদার রজ্জব হোসেন রাজু ও সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কাজটি হাতে নেওয়ার পর হঠাৎ সব মালের দাম বেড়ে যায়। পাথর প্রতি ফুট- ৫০ টাকা বেশি, বিটমিন প্রতিটনে- ৩৫ হাজার বেশী, ডিজেল প্রতি টনে- ৫০ হাজার বেশী, কেরোসিন প্রতিটনে – ৫০ হাজার বেশি দিয়ে কাজ করতে হয়েছে। সড়কের কাজটি শেষ করতে ৪৫ লাখ টাকা লোকশান হয়েছে। জনগণের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে লস দিয়ে কাজটি শেষ করেছি। আগামী সপ্তাহে এমপি স্যার এই সড়ক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী রায়হানুল আলম চৌধুরী বলেন, এলজিইডি কতৃক মেটংঘর-শ্রীকাইল সড়কের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। আমি নিয়মিত সড়কের কাজ দেখাশোনা করেছি। মালামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যায় কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হক ইন্টারন্যাশনাল ওই সড়কের কার্পেটিং শেষ করেছেন।