মুরাদনগরে প্রিন্সিপাল নিয়োগে ইউএনও’র বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অবজ্ঞার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া মোঃ আরিফ স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল নিয়োগে ইউএনও আলাউদ্দিন ভূইয়া জনীর বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। আইনগত ক্ষমতা না থাকায় ইউএনও অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন না মর্মে হাইকোর্ট ইউএনও’র জারীকৃত আদেশ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তিন মাস আগের আনিত অভিযোগের তদন্ত করছেন তিনি।
সরেজমিনে জানা যায় , অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করণের জন্য মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন ভুঞা জনী গত ২৯ ডিসেম্বর বাইড়া মো: আরিফ স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেলকে নির্দেশ দেন।
ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলেজ সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেল গত ৮ জানুয়ারি মহামান্য হাইকোর্টে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাইড়া আরিফ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন আহমেদকে প্রতিপক্ষ করে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো: বশির উল্লাহ’র যৌথ বেঞ্চ অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত ইউএনও’র জারিকৃত আদেশ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। একই সাথে উক্ত বিষয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য ইউএনওসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেন।
এ বিষয়ে কলেজ সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেল বলেন, অধ্যক্ষ নিয়োগে ইউএনওর অবৈধ হস্তক্ষের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদীতভাবে গত ২২ জানুয়ারি আমার বিরুদ্ধে ৩ মাস আগের একটি অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তিন মাস আগের যেই অভিযোগের তদন্ত করছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক হওয়ার পরও ইউএনও আমাকে তিন মাস পরে এসে হেনস্তা করছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক বিষয়টির তদন্ত চলছে। অভিযোগ কারীদের সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানাদি নিয়ে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সভাপতির বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। যার ফলে তাদেরকে সাক্ষ্য প্রামাণাদির জন্য আরো দুই দিন সময় দিয়েছি।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, “ অধ্যক্ষ নিয়োগে কোন বাঁধা নেই। মহামান্য হাইকোর্ট আমাকে জবাব দিতে বলেছেন আমি সেখানেই জবাব দিয়ে আসব। আর কলেজ সভাপতি একটু বেশীই বুঝেন এতো বেশি বুঝা ভালো না ”।