ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল ( খামার পাড়) গ্রামে ঘরের উপর গাছ পড়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০ টায় ঘটনাটি ঘটে। নিহতারা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী ও মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেসাখাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার মজুমদার।
নিহতারা হলেন, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৮),তার স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী (২২) দেড় বছরের কন্যাশিশু নুসরাত।
স্থানীয় জানায়,‘সোমবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার হেসাখাল গ্রামের একটি ঘরে বড় গাছে ভেঙে পড়ে। এতে বাবা, মা ও মেয়ে গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গাছ পালা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। লালমাই উপজেলার আশকামতা গ্রামে ঘরে গাছ পড়ে একই পরিবারের চার জন আহত হয়েছে।
এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাসানপুর,বানিয়াপাড়া, আমিরাবাদ, বেলতলী,চান্দিনা, কালাকচুয়াসহ বেশ কিছু স্থানে ঝড়ো হাওয়ায় গাছে ভেঙে সড়কে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টায় পর্যন্ত মহাসড়কের ১০ থেকে ১২টি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে। এর মধ্যে দাউদকান্দির ছয়টি স্থানে গাছে ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে নিয়ে গাছে সরিয়েছি। রাত ১১টার দিকে যানবাহন চলাচল সচল হয়।’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে যেকোনো ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে খবর নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।