কুমিল্লায় বেতনের দাবিতে ভেতরে-বাইরে আন্দোলন

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ ।।
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ইপিজেডের ভেতরে-বাইরে বিক্ষোভ করেছে রয়েল ডেনিম লিমিটেড কোম্পানির শ্রমিকরা।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নগরীর পিজেড এলাকায় বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে শ্রমিকরা ইপিজেডের বাইরে জড় হতে শুরু করে।এরপর বেতন পাওয়ার দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান শ্লোগানে মেতে উঠে।বেলা ১১ টার দিকে শ্রমিকরা বেপজা অফিসের দিকে যেতে চাইলে পড়ে পুলিশ,আনসার ও বেপজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনির কর্মকর্তারা তাদের আটকে দেয়।

এরপর বেপজার কর্মকর্তারা তাদের শান্তনা দেবার চেষ্টা করলেও তারা তাদের দাবির প্রতি অনড় থেকে সকলে রাস্তায় বসে পড়ে।পরে কোম্পানি চেয়ারম্যানের সাথে বেপজার কর্মকর্তারা কথা বললে শ্রমিকরা কিছুটা নরম হয়ে ডেনিক কোম্পানির ভেতরে প্রবেশ করে,কিছুক্ষণের মধ্যে বেপজার মহা ব্যবস্থাপক মাহবুব উপস্থিত হয়।এরপর কয়েক দফা শ্রমিক ও রয়েল ডেনিম কোম্পানির সাথে কথা বলে সমঝোতায় আনার চেষ্টা চলে।

জানা যায়,আন্দোলনকারীরা সবাই কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত রয়েল ডেনিম লিমিটেড কোম্পানিতে কাজ করেন।তাঁদের কারও দুই মাস আবার কারও তিন মাসের বেতন পাওনা রয়েছে।বেতনের বিষয়টি কোম্পানির মালিককে বললে তিনি দেখবেন-দেখছেন বলে শ্রমিকদের বুঝিয়ে দিতেন।পরে এর কোনো সমাধান না পাওয়াই সবাই বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক শ্রমিক জানান,রয়েল ডেনিম লিমিটেড কোম্পানি তিন মাস ধরে তাঁদের বেতন বকেয়া রেখেছে। মালিক কর্তৃপক্ষ বেতন দেওয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো শ্রমিকেরই বেতন বুঝিয়ে দেয়নি।

আরেক নারী শ্রমিক জানান, শ্রমিকদের দাবি, বেতন না পাওয়ায় তাঁরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। কষ্টের কথা মালিকপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।একদিকে বাড়ির ভাড়া বাকি,আরেক দিকে মুদি দোকানে বাকি,ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছি, মালিকপক্ষ বেতন দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইপিজেড ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন,রয়েল ডেনিম লিমিটেড কোম্পানির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছি।তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বুঝিয়ে দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেতন দেয়নি।আজ তারা জানিয়েছে আগামী বুধবার সকলের বেতন বুঝিয়ে দিবে।যেকোনো বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আমারা সতর্ক অবস্থানে আছি।

কুমিল্লা শিল্প পুলিশের (অঞ্চল-৭) পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম জানান,শ্রমিকদের বেতনের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিলো তা মালিল-শ্রমিক এখন সমঝোতায় পৌঁছেছে।

বেপজার মহা-ব্যবস্থাপক মাহবুব বলেন,আমরা একটা সমঝোতায় আনার চেষ্টা করেছি।যেহেতু এই ফেক্টোরি আজ অনেক মাস যাবত বন্ধ অবস্থায়। তাই তারা শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছিলো।এখন যেহেতু এটা নিয়ে আন্দোলন করেছে,তাই আমরা শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে একটা সমাধানে যাচ্ছি।তারা জানিয়েছে বুধবার সকলের বেতন বুঝিয়ে দিবে।