কুমিল্লায় মাদকের বড় ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে

আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

দেশের যেসব জায়গা দিয়ে মাদক বেশী প্রবেশ করে তার মধ্যে কুমিল্লা অন্যতম। এ জেলায় আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের হাতে এক কেজী দু কেজী নয়, মন হিসেবে গাঁজা ধরা পড়ে। সীমান্তে আনাগোনা বেড়েছে মাদকসেবীদের। আরো ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে মাদকের নতুন ভার্সণ আইস ও ক্রিস্টাল মেথ যা দেশে ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পরছে। আগামী প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তালিকা হচ্ছে। কুমিল্লায় মাদকের বড় ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

রোববার সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম সভাপতির বক্তব্য এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোঃ মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক কৃষকধীগ নেতা আলহাজ ওমর ফারুক, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম সেলিম, র‌্যাব ১১ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আমিনুল ইসলাম টুটুল, দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলী সুমন, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বুড়িচং উপজেলার চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারী অন্যান্য দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় গোমতীনদীর মাটি কাটা রোধে আলোচনা করেন দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, যদি গোমতীর দেবিদ্বার অংশে এলোপাথারি মাটি কাটা বন্ধ না হয় আগামী বর্ষায় গোমতীর পানি দেবিদ্বারে প্রবেশ করে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই এখনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ঢাকা চ্টগ্রাম মহাসড়কের দেবিদ্বার বাগুড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠা দোকানে রাতদিন মাদক সেবন ও বিকিকিনি চলে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে সভার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, গেলো বছরের শেষ সময় থেকে নতুন বছরে কুমিল্লায় অপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিসেম্বরের তুলনায় কুমিল্লা জেলা খুনসহ অন্যান্য অপরাধ বেড়েছে। ডিসেম্বরে বিভিন্ন ঘটনায় কুমিল্লায় ৮ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারী মাসে হয়েছে ১০ টি খুন। এছাড়াও অন্যান্য ফৌজদারী অপরাধও বেড়েছে। গেলো জানুয়ারী মাসে ১ টি বিদেশী পিস্তল ৪ টি পাইপগান ও ৩ টি কার্তুজ ও ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আইনশৃংখলা সার্বক পরিস্থিতির বিষয়ে সভায় উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনী আগের তুলনায় এখন আরো বেশী সক্রিয় আছে। যে কোন পরিস্থিতিতে পুলিশ তাদের অবস্থান নিশ্চিত করছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে।