বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে আদালত চত্বরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকারী ইন্ধনদাতা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে ২০ আইনজীবীকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার আইনজীবী সমিতির সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে ইউনুস ভূঁইয়া জেলার লাকসাম উপজেলা পরিষদ এবং আমিনুল ইসলাম টুটুল আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। অন্যরা জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মুহাম্মদ রাশেদুল হাসান, মুখ্য সংগঠক মোস্তফা জিহান, যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক মাহমুদ।
কক্ষে তালা দেওয়ার বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁঞা রাতে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও বার কাউন্সিলের বিধান অনুসারে যে কোনো মামলার বাদী কিংবা আসামিকে আইনগত সহায়তা দিতে হয়। কোন অ্যাডভোকেট জুলাই গণহত্যার কোন আসামির পক্ষে আইনি লড়াই করেছে এর তালিকা তো আদালতে আছে। তার ভাষ্য, ‘জুলাই আগস্টের গণহত্যার মামলায় আইনি সহায়তা দেওয়া যাবে না, এমন সরকারি প্রজ্ঞাপন তো এখনো আসেনি। সরকারি আদেশ আসলে সকল আইনজীবীই তা প্রতিপালন করবে।