কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন এলাকাটিতে মাদক ও কিশোরগ্যাং এর উৎপাত এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে।এতে স্টেশনের পথশিশু থেকে শুরু করে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। রাত নামলে আঁধারে তাদের আনাগোনা শুরু হয়।চার থেকে ছয় জনের একটি গ্রুপ স্টেশনের রেলের পাতে ও অন্ধকারের মধ্যে নেশার আসর বসায়।মদ, গাঁজা, ড্যান্ডিসহ নানা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া নারীদের অসামাজিক কাজ চলছে সেখানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাতে স্টেশনের আশপাশে মাদকসেবীদের মেলা বসে কয়েকজন মিলে দল তৈরি করে রেলের পাতে বসে এবং নানা নেশা করে। স্টেশনের আশ পাশের কয়েকটি বস্তির উঠতি পথশিশুরাও যুক্ত হয় এই মাদকের আসরে।আর ফুটওভার ব্রিজের উপরে ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হবে স্টেশন এখন পতিতালয়ের রুপ নিচ্ছে।
কুমিল্লা থেকে চট্রগ্রাম যাবে এমন এক যাত্রী বলেন, এখন সন্ধা ট্রেন আসতে আরও সময় লাগবে।স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজে ছেলে কতগুলো সিগারেট খায়।আর সাথে মেয়েদের সাথে অনৈতিক কাজ করছে।
আরও কয়েকজন বলেন,এই স্টেশন এলাকায় নেশাটেশা আগে এতোটা ছিলোনা।এখন এসব কার্যক্রম যেভাবে বেড়ে চলছে প্রশাসন তা বন্ধ না করে তাহলে এর জন্য যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি সঠিক শিক্ষার অভাবও রয়েছে। দ্রতই তাদের মাদকের ছোবল থেকে সরিয়ে আনা প্রয়োজন।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদের রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন স্টেশনে করা নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কারো মাদক সেবনের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। আমাদের কেউ অভিযোগও দেয়নি।রেলস্টেশনে মাদক ও নারীদের আনাগোনা নেই।
কুমিল্লা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মাঝে মধ্যে মানুষের মুখে শুনি কিছু বখাটে স্টেশন থেকে দূরে বসে মাদক সেবন করে। আমি সেটা জানামাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই। সবসময় সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে স্টেশনকে সুরক্ষিত রাখার। আমি প্রতি দিন সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।