কুমেক হাসপাতালকে রুগী বান্ধব হাসপাতালে গড়ে তুলবো- ডা.শেখ ফজলে রাব্বি

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ ।।
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারী পরিচালক এবং সাবেক সফল সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি সদ্য পদোন্নতি পেয়ে গত ৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক পদে যোগদান করেন। গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের পদ থেকে ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী অবসরে যাওয়াই পরিচালক পদটি শূন্য ছিল।

এ ছাড়াও ডা. শেখ ফজলে রাব্বি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এবং মুন্সিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলার সফল জনপ্রিয় সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত সোমবার (৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শেষ কর্ম দিবস ছিল ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।

জানা যায়, ডা. শেখ ফজলে রাব্বি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম শেখ আবুল হোসেন সাতক্ষীরার সাবেক সাংসদ ও জেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। ডা. শেখ ফজলে রাব্বি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সাতক্ষীরাতেই শেষ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএইচ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৭তম বিসিএস এ সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলায় প্রথম কর্মদিবসে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে বাগেরহাটের কচুয়া বাগেরহাট সদর হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি উপজেলা হয়ে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মুন্সিগঞ্জের সফল সিভিল সার্জন ও চট্রগ্রামের সফল সিভিল সার্জনের দায়িত্ব শেষে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক হওয়ার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসবে যোগদান করেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী ও এক ছেলে-এক মেয়ে নিয়ে সংসার জীবন অতিবাহিত করছেন। স্ত্রী রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। প্রথম সন্তান মেয়ে। সে কুয়েট থেকে কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশুনা শেষ করে ঢাকা আহসানিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনির্ভাসিটির প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছে। আর একমাত্র ছেলেটি চট্রগ্রাম নাসিরাবাদ বয়েজ স্কুলে দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি সারা বাংলাদেশে কিন্তু বিশেষ ভাবমূর্তি অর্জন করেছে। এখানের সার্বিক কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। আমি চেষ্টা করব চলমান কাজগুলোর দিকনির্দেশনা দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কুমেক হাসপাতাল বাংলাদেশে আরও উন্নতি করতে পারে। আমি কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি ডিজি মহোদয়ের প্রতি, তিনি কুমিল্লার সন্তান হওয়াই কুমেক হাসপাতালের প্রতি একটু সুদৃষ্টি থাকবে। স্যারের সহযোগিতায় হাসপাতালের কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে।

তিনি আরও বলেন, পুরো হাসপাতালটি ঘুরে দেখেছি। প্রথমত হাসপাতালের সার্বিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবশ্যই আমাকে খেয়াল রাখতে হবে ও নিশ্চিত করতে হবে। আমি কুমেক হাসপাতালকে রুগী বান্ধব হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলব। রুগীরা এসে যাতে বলতে পারে, হাসপাতালের ব্যবহার ও সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট। পরবর্তীতে এনআইসিওর কাজ চলমান আছে এটা আমরা তরান্বিত করব। গাইনিতে একটি আইসিইউ হবে। ডায়ালাইসিস এর কাজটুকুও শেষ করব। কুমিল্লা বাসীর সেবা নিশ্চিত করা ও সারা বাংলাদেশে একটি মডেল হাসপাতালে উপস্থাপন করার লক্ষে কাজ করে যাব। হাসপাতালটিতে দালাল মুক্ত করার লক্ষে প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করছি। আর যারা ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ আছে তারা একটি সময় ব্যতিত হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেনা।