কোম্পানীগঞ্জ বাজারে একসাথে ৫ দোকানে চুরি

এন এ মুরাদ ।।
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারের জিয়া মার্কেটে একসাথে ৫টি দোকানে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে । চোরেরা টিনের চালা দিয়ে ভীতরে প্রবেশ করে ৫লাখ টাকার মোবাইল নগদ অর্থ ও মালামাল চুরি করে করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতের কোন একসময় মুসাফির টেলিকম, মদিনা মোবাইল মেলা,ফরিদ স্টোর, শাখাওয়াত বস্ত্রালয় ও রিফাত বস্ত্রালয়ে এ চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে দোকান খোলে দোকনদাররা বিষয়টি টের পেয়েছেন।
মদিনা মোবাইল মেলার মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, সকালে মার্কেট থেকে ফোন দিছে যে আপনি দোকানে আসেন আপনার পাশের দোকানে চুরি হইছে। আমি এসে সার্টারের তালা খুলে দেখি আমার দোকানের সিলিং ছিদ্র করে ভীতরে চোর ঢুকে ১৯ পিছ এনড্রয়েড মোবাইল এবং ৪ টি নরমাল মোবাইল নিয়ে গেছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। চুরির সন্দেহটা নাইটগার্ডের উপরেই হয় কারণ সে থাকা অবস্থায় টিন খোলে ভীতরে ঢুকে ৫টি দোকান থেকে চুরি করছে।
মুসাফির টেলিকমের প্রোপ্রাইটর মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, তার দোকানে চোর ঢুকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার মোবাইল নিয়ে গেছে।
শাখাওয়াত বস্ত্রালয়ের পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন জানান, পাশের দোকান থেকে উপরের পার্টিশন কেটে ভীতরে ঢুকে নগত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। বাজারে নাইট গার্ডের উপর ভরসা করে সবায় বাড়ি চলে যায়। তারা এতোটাই দায়িত্বহীন যে ৫টি দোকানে চুরি হলো কাউকে দেখলো না। নিশ্চই চুরি দায়টা তাদের উপরই বর্তায়।
ফরিদ ষ্টোর এন্ড খেলাঘর ও রিফাত বস্ত্রালয় থেকেও নগত অর্থ মালামাল নিয়ে গেছে চোর চক্ররা।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ বাজার কমিটির আহব্বায়ক চন্দন বণিক বলেন, ৫টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে জিয়া মার্কেটে আসি। পুলিশকে খবর দিয়েছি। তারা সিসি ফুটেজ দেখে চোর সনাক্তের চেষ্টা করছেন। এছাড়াও এই মার্কেটের দায়িত্বে থাকা প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন বলেন, মার্কেটে কিছুদিন পরপর চুরি হয়। এঘটনায় পাহাড়াদাররা দায় এড়াতে পারেনা। প্রশাসন ও বাজার কমিটির সাথে কথা বলে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে।
মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, চুরির ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুরো বাজার সিসি ক্যামারা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে বাজর কমিটির লোকজনের সাথে আলোচনা হয়েছে।