গোমতীর বুকে চলছে মাটি কাটার উৎসব

এন এ মুরাদ ।।
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার মুরাদনগরে অবাদে মাটি কেটে ক্ষত-বিক্ষক করা হচ্ছে গোমতী নদী। শত শত ট্রাক্টর রাত-দিন গোমতীর দু’পাশের মাটি কেটে উজাড় করায় অতিষ্ট হয়ে পড়ছে নদীর দুপাড়ের বাসিন্দারা। ধুলায় বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। নদীর ভিতর মাটি কাটার কারণে হুমকির মুখে পড়ছে প্রতিরক্ষা বাঁধ , সড়ক ও সেতু। অবৈধ ট্রাক্টরে মাটি পরিবহন করায় ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে বেড়ি বাঁধ ও এলজিইডির সড়ক। খরস্রোতা গোমতী হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর এলাকায় গোমতী নদীর ভিতর প্রায় ৩০টি ট্রাক্টর দিয়ে দেদারসে মাটি কাটছেন হুমায়ূন আহম্মেদ ও তার সিন্ডিকেট দল। সে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিক তুহিনের বাবা বলে পরিচয় দেয়। মাটি কাটার ছবি উঠাতে গেলে তিনি সাংবাদকর্মীর উপর চড়াও হয়ে উঠেন এবং ছবিগুলো ডিলেট করে দিতে ধমকি দেন। এভাবে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ, গুনজর , দক্ষিণ ত্রিশ, উত্তর ত্রিশ, মালিশাইল, মুরাদনগর সদর, আলীরচর, ধামঘর, নোয়াকান্দি, ভুবনঘর, বাখরাবাদ, জাহাপুর, সুবিলাচরসহ বিভিন্ন স্পট থেকে নির্বিঘ্নে মাটি উত্তোলন করছেন ক্ষমতাশীল ভূমি দস্যুরা।

জানা যায় , এই গোমতীর চর থেকে কৃষকরা সবজি ফলান। এই সবজি মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রি হয়। চরের মাটি কেটে গভীর গর্ত কারায় সবজির আবাদ কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে অবৈধ ট্রাক্টরের বিকট শব্দ আর ধুলা-বালিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন স্কুলগামী শিশুরা। অবৈধ ট্রাক্টরের দৌরাত্ব দেখে অভিভাবকরা সন্তানকে স্কুলে-কলেজে পাঠানো নিয়ে থাকেন দুশ্চিন্তায়। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। তাই তারা আইনের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই গোমতীর বুকে চালাচ্ছে মাটি কাটার মহাউৎসব। বিলিন করে দিচ্ছেন গোমতীর চর।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, গোমতী নদী থেকে মাটি কাটার কোন অনুমতি নেই। কেউ মাটি কাটলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।