ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো আব্দুল হক মেম্বার

#বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি-ইউএনও #মেম্বারের সাথে বিয়ে দিয়ে দিছে তা আমি জানিনা-উপজেলা চেয়ারম্যান #আল্লার কসম আমি মেম্বারকে আনতে বলিনি-চেয়ারম্যান #চেয়ারম্যান নিজামের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল মেম্বারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে-এলাকাবাসী
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে ছদ্মনাম মৌ (১৫) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার তবারক উল্লাহর ছেকে আব্দুল হক (৪২)।
জানা যায়, গেলো ২২ জুন শনিবার দিবাগত রাতে মেম্বার আব্দুল হক ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের মা কুসুম আক্তার বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার আত্ম চিৎকারে স্থানীয় লোকজন মেম্বার আব্দুল হককে আটক করে রাখে। পরদিন ২৩ জুন সকালে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীমের নির্দেশে স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম তাকে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে আসে। এ নিয়ে গেলো ২৪ জুন সোমবার চেয়ারম্যান শামিমের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদে এক শালিস বসে। এ সময় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত থেকে ধর্ষিতা মেয়েটির জবানবন্দীর পর চেয়ারম্যান শামিম নির্দেশ দিয়ে ধর্ষণের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও সর্দার আব্দুল করিমকে দায়িত্ব দিয়ে মেয়েটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মেয়ের পরিবার স্থানীয় প্রভাবশালীদের আতঙ্কে এলাকা ছাড়া বলে জানা যায়।

ওই এলাকার সর্দার আব্দুল করিম জানান, বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আব্দুল হকের দুইটি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামিম বলেন, আল্লার কসম করে বলছি আমি মেম্বারকে ছাত্রলীগের সাইফুলকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আনতে বলিনি। আমি ঘটনা জানছি ঈদের পরে। উল্টো মেয়ের মামাকে বলছি যেহেতু মেয়ের বাবা গরিব মামলা চালাইতে যত টাকা লাগে আমি দিব। পরে মন্ত্রী মহোদয়কে বলে তাকে মেম্বার পদ থেকে বহিস্কৃত করার সুপারিশ করব।
লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভূইয়া বলেন, বাদীপক্ষ যদি মামলা না করে এটা তাদের বিষয়। মেম্বারের সাথে বিয়ে দিয়ে দিছে তা আমি কিছুই জানিনা। যিনি বলেছেন তিনি সঠিক বলেনি।
এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর ক্ষতিয়ে দেখছি।