চেয়ারে বসা নিয়ে দুই খাদ্য কর্মকর্তার তুমুল ঝগড়া

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় চেয়ারে বসা নিয়ে উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) কৃষ্ণা মজুমদার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়েছে।

এ নিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ওসিএলএসডি কৃষ্ণা মজুমদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ডিলারদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ করেন। এর প্রতিবাদ করায় কৃষ্ণা মজুমদার তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন ১৭ অক্টোবর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ ওসিএলএসডি কৃষ্ণা মজুমদারের নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দুয়া উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বলেন, কৃষ্ণা মজুমদার স্থানীয় ডিলারদের চাল ওজনে কম দেন। আমি এসবের প্রতিবাদ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ বিষয়ে আমি জেলা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, উপজেলা পরিষদ ভবনে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার অফিস থাকার পরও তিনি খাদ্য গুদামে আমার অফিস দখল করে রাখেন। এমনকি আমার কম্পিউটরও তিনি ব্যবহার করেন। তার অফিসের লোকজন সারাক্ষণ আমার অফিসে বসে থাকেন। তিনি নিজেও প্রায় সময় আমার চেয়ারে এসে বসে থাকেন। সে কারণে আমি আমার মতো করে কাজ করতে পারি না। এ বিষয়টি তাকে বলতেই আমার বিরুদ্ধে ওজনে চাল কম দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ জেলা কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দুয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ জানান, গত মঙ্গলবার জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এ বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার তদন্তকাজ শেষ হয়েছে। রোববার প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হবে। তদন্তে কি পেয়েছেন, এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে চাননি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম যুগান্তরকে বলেন, আমাদের নবনির্মিত ভবনে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে একটি অফিসকক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে এখনো বসার মতো কোনো ব্যবস্থা হয়নি। এ ছাড়া পুরাতন ভবনে তার কোনো অফিস নেই। ফলে খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডির অফিসটিই দুজনে ব্যবহার করেন।

নেত্রকোনার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।