ঝালমুড়ি বিক্রি করে স্বাবলম্বি হবিগঞ্জ থেকে কুমিল্লায় আসা লাভলু মিয়া –

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

মোহাম্মদ হাসান।।

স্ত্রী ও ছেলে মেয়েসহ ৫ জনের সংসার লাভলু মিয়ার। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা তিনি। নিজ জেলা হবিগঞ্জে সুবিধা করতে না পেরে চলে আসেন নগর কুমিল্লায়। শুরু করেন ঝালমুড়ি বিক্রি। এখন জাল মুড়ি বিক্রি করেই নিজের জীবন সাজান তিনি।

বলছিলাম কুমিল্লা শহরের ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. লাভলু মিয়ার কথা। হবিগঞ্জ জেলার লাহাই থানার হোসেন পুর গ্রামের মো. টেনু মিয়ার ছেলে লাবলু মিয়া। অভাবের সংসার বলে পড়াশুনা করতে পারেননি। দিন মজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। নানা রোগ শোকে আক্রান্ত হওয়ার পর দিন মজুরের মত কঠিন কাজ গুলো করতে পারন না এখন। তাই বৃদ্ধ মা,বাবা, স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয় তাকে। তাই একদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রেনে করে চলে আসেন নগর কুমিল্লায়। শুরু এক হাজার টাকা মূলধন নিয়ে শুরু করে ঝালমুড়ি বিক্রি। দেখতে দেখতে চলে গেলো ঝালমুড়ি বিক্রিতা হিসেবে কুমিল্লায় তার এক বছর। ঝালমুড়ি বিক্রি করে মোটামোটি ভালোই কাটছে তার দিন। এখন আর অন্য ব্যব্সার প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই। এইু ঝালমুড়ি বিক্রি করেই সুন্দর জীবন সাজাতে চান লাভলু মিয়া।

লাভলু মিয়া ঝালমুড়ি বিক্রি করেন কুমিল্লা শহরের টাউনহল, ঈদগাহ মোড়, ধর্মসাগর পাড় ও বিভিন্ন স্কুলেল সামনে।

তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি করি ঝালমুড়ি বিক্রি করি । সর্ব নিম্ম ১,৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২,২০০ টাকা পর্যন্ত ঝাল মুড়ি বিক্রি করছেন প্রতিদিন। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন লাভ থাকে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা।

লাভলু মিয়া জানান, নিজে মোবাইল চালাই না অন্যের মোবাইল দিয়ে বাড়িতে কথা বলি । মাঝে মধ্যে বাড়িতে যাই। আওন যাওনের খরচ বেশি এজন্য বাড়িতে কম যাই ।আলহামদুল্লিাহ ঝালমুড়ি বিক্রি করে ভালো আছি। তবে জিনিস পত্রের দামের কারণে এখন চলতে খুব কষ্ট হয়। কারণ, বৃদ্ধ মা বাবার ওষুধের খরচ চলে যায়। এরপর সংসার খরচ।

কুমিল্লায় ঝালমুড়ি বিক্রি করতে কোন চাঁদা দিতে হয় কিনা জানতে চাইলে লাভলু মিয়া বলেন, এমনে কোন চাঁদা দিতে হয় না। মাঝে মাঝে কিছু লোক আসে খরচ নেয়ার জন্য। না দিলে ঝামেলা করে। বুঝতে পারি এরা ছিচকে চাঁদাবাজ। তাই কিছু বলি না।