ড. কলিমউল্লাহসহ ৩জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কুমিল্লার যুবলীগ নেতার মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

স্টাফ রিপোর্টার ।। জানিপপ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বুধবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলা করেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ।
আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ক্রাইম ব্রাঞ্চ সাইবার ইউনিট, চট্টগ্রামকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
এ মামলার আসামীরা হচ্ছেন, জানিপপ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোঃ মনিরুল হক চৌধুরী ও টেবিল টক ইউকে (ঞধনষব ঞধষশ ঔক) সঞ্চালক হাসিনা আক্তার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৩ মে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়াামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যগণ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে সর্বসম্মতিক্রমে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করেন। তার দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর সকল আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে বিএনপি-জামাতের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় লন্ডন থেকে পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকে’র (ঞধনষব ঞধষশ টক) মাধ্যমে গত ১৯ মে ২০২২ তারিখে প্রচারিত একটি টকশোতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিষোদগার এবং মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার শুরু করে।
১নং আসামী আসামী অধ্যাপক ডঃ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ উক্ত টকশোতে উল্লেখ করেন, রিফাতের নমিনেশন এনসিওর করতে ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে পরে শুনলাম যে এটা বেড়ে ২০ কোটি টাকা গেছে। পরবর্তীতে যে হৈ চৈ টা হলো…..এই যে নতুন করে ভোরের কাগজ এবং ডেইলি স্টারে রিপোর্ট হলো তারপর যে হৈ হট্টগোল হলো তার প্রেক্ষিতে এই টাকা খরচের পরিমাণটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে নাকি ৬০ কোটি টাকা”- এইরূপ মানহানীকর বক্তব্য প্রদান করেন।
১নং আসামী অধ্যাপক ডঃ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ কোনরূপ তথ্যপ্রমাণ ব্যতিরেকে সামাজিক গণমাধ্যমে এ জাতীয় মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানীকর বক্তব্য উপস্থাপন করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার নীলনকশায় জড়িত। আসামী নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রদত্ত এইরূপ বক্তব্যে মামলার বাদী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মনোনয়ন বোর্ডের সম্মাণিত সদস্যগণ, কুমিল্লা সদর আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পারিবারিক ও রাজনৈতিক সম্মাণহানী ঘটানো হয়েছে।
একই টকশোতে ২নং আসামী বিএনপি চেয়াররপারসনের উপদেষ্টা মোঃ মনিরুল হক চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে ১নং আসামী অধ্যাপক ডঃ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মিথ্যা বানোয়াট উক্তিকে সমর্থন করে সংশ্লিষ্টদের সম্মাণহানী করেছেন। ৩নং আসামী হাসিনা আক্তার উক্ত টকশো “৬০ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন ক্রয় করেছে গডফাদার রিফাত” শিরোনামে সংবাদ সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচার করে বাদী ও অন্যান্যদের সম্মাণহানী করেছেন।
আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে উক্ত টকশো অনুষ্ঠানে মানহানীকর বক্তব্য প্রচার করে আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার ঘৃণ্য চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সায়মন চৌধুরী।