ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ এখন পুরোটাই ডাবল লাইন

#বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী #ক্রসিংয়ের জন্য থামাতে হবে না ট্রেন
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

কুমিল্লার লাকসাম ও ব্রাক্ষনবাড়িয়ার আখাউড়া রেল সেকশনের ডাবল লাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় গনভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ উদ্বোধন করবেন।
এদিকে লাকসাম রেলওয়ে জংশন প্রান্ত থেকে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি ও রেলপথ মন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি যুক্ত হয় এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
উদ্বোধনকে ঘিরে নানা ভাবে সাজানো হয়েছে লাকসাম জংশন এলাকা। পাশাপাশি রেল যাত্রী সাধারণ মানুষ ও রেল কর্মকর্তা – কর্মচারীদের মাঝেও বইছে আনন্দের বন্যা।
জানাযায়,আখাউড়া-লাকসাম অংশ ডাবললাইনে উন্নতি করতে ২০১৪ সালে ৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল সরকার।এরআগে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ১২৪ কিলোমিটার ব্রিটিশ আমলে ডাবললাইনে উন্নতি হয়। লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার ডাবললাইন ২০১৫ সালের এপ্রিলে এবং পরের বছরে ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গী থেকে ভৈরববাজার পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার ডাবললাইন চালু করা হয়। ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-লাকসাম সেকশন ডুয়েলগেজ ডাবললাইন উন্নতিকরণ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে পূর্বাঞ্চল রেলের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথটির ৩২১ কিলোমিটার পুরোটাই এখন ডাবল লাইন। এতে করে ক্রসিংয়ের জন্য আর থামাতে হবে না ট্রেন। কমবে দূঘর্টনা, হবেনা সিডিউল বিপর্যয়।
দেশের প্রধান রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বর্তমানে দিনে ২৩টি ট্রেন চলাচল করছে । ডাবললাইনে উন্নতি হওয়ায় যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার দাবী সচেতন মহলের। এতে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুফলের পাশাপাশি বাড়বে রেলের রাজস্ব আয়।
লাকসাম রেলওয়ে জংশনে মহানগর ট্রেনের অপেক্ষারত যাত্রী বেসরকারি চাকুরীজীবি কিশোরগঞ্জের সালাউদ্দিন জানান, ডাবল রেললাইন উদ্বোধনে ট্রেন যাত্রী হিসেবে আমি বেশ উচ্ছ্বসিত। তবে এবার ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করলে আমরা সব সময় ট্রেনে চলাচল করতে অসুবিধা হবে না।
লাকসাম প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এড. রফিকুল ইসলাম হিরা জানান, রেললাইন উন্নতি করনের পাশাপাশি প্রাচীন লাকসাম জংশনকে আধুনিকায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে । কারণ দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ জংশনের সংস্কার না করায় এটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি রেল কর্মকর্তা – কর্মচারীদের আবাসিক কোয়ার্টার গুলোরও বেহাল দশা। তিনি বলেন, এক সময় লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকা ছিল নান্দনিক। কিন্তু অযত্নে অবহেলায় এর ঐতিহ্য নষ্ট হতে চলেছে।
লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের জানান,রেলওয়ের এ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশাল জনগোষ্ঠী সুফল ভোগ করবে। পূর্বের ঐতিহ্য ফিরে পাবে রেলওয়ে।
লাকসাম -আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সুবক্তগীন জানান,৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-লাকসাম সেকশন ডুয়েলগেজে পুরো সেকশনে উভয় লাইনে ট্রেন চলতে পারবে। সব স্টেশন এবং সেতুর কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলো উদ্বোধনের পর করা হবে। এসব কাজের জন্য ট্রেন চলাচল ব্যহত হবে না।