শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে অকটেনের প্রতি লিটার তেলের দাম ১৩৫ টাকা ঘোষণা পরপরই কুমিল্লা নগরীর পেট্রোল পাম্পে তেল কিনার হিড়িক লেগেছে। এছাড়াও বাড়তি দামে তেল বিক্রি করতে অনেক পাম্প রাত্রে বন্ধ রাখা হয়। এদিকে তেলের দাম বৃদ্ধিতে শনিবার কুমিল্লায় বিভিন্ন রুটে বেড়েছে বাস ভাড়া।
শুক্রবার রাত ১১ টা থেকে নগরীর চক বাজার নুরুল হুদা পাম্পে তেল কেনার হিড়িক লাগে। এছাড়াও নগরী এবং আশেপাশের এলাকায় পেট্রোল পাম্পগুলো বন্ধ করা হয়।
নুরুল হুদা ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার ইকবাল হোসেন জানান, রাত ১১ টা থেকে পাম্পে মোটর বাইক চালকদের ভিড় জমে। আমরাসহ আশেপাশের যেসব পেট্রোল পাম্প আছে সবাই বাইক ও গাড়ি চাকলদের কাছে তেল বিক্রি করছি। যারা কন্টেইনার নিয়ে আসছে তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছি।
নগরীর টমছম ব্রিজ, চকবাজার, গুধির পুকুরপাড় ও শাসনগাছা এলাকার পেট্রোল পাম্পে খবর নিয়ে জানা যায়, তারা রাত ১১ টা পর্যন্ত প্রতি বাইকে ১ লিটার পর্যন্ত তেল বিক্রি করেছেন। রাত সোয়া ১১ টার সময় তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প রাতে তেল নেই বলে জানান। সবাইকে শনিবার আসার জন্য বলেছেন।
নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় একটি পাম্পে তেল না পেয়ে চকবাজারমুখী যাওয়া যুবক আলী হোসেন বলেন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ার কারণে মালিকরা এখন তেল দিচ্ছেন না। মালিকরা বলছেন তেল নেই। দাম বাড়ার সাথে সাথে সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার সাহারপাড় এলাকায় একটি পাম্প তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এতে পরিবহন চালক হেলপাররা মহাসড়ক অবরোধ করে। হাইওয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাওয়া বাস যাত্রী আবদুর রহমান বলেন, ২২০ টাকার ভাড়া ২৫০টাকা নিয়েছে। বিকালে এই ভাড়া আরো বাড়তে পারে।