নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে উপস্থিত তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচয় করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার সঙ্গী মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলেই তিনি আশা করছেন।
আমাদের মূল লক্ষ্য হলো— জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়া। আমরা সেটি করতে সক্ষম। বন্ধুত্ব দিয়ে যে কোনো সমস্যারই সমাধান করা যায়। আমরা সব সময় সেটাই করি।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসিনা যান রাজঘাটে। সেখানে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর পর হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুই নেতার নেতৃত্বে হবে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার পাশাপাশি দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচ্যসূচিতে প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতেই কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। কর্মসূচি শেষে মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।