দেবিদ্বারে ইফতার নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ: সাংবাদিকসহ আহত ১২ থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার দেবিদ্বারে মসজিদে ইফতার বিতরণ নিয়ে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ প্রায় ১২জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি দক্ষিণ পাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে ইফতার বিতরণকালে ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ভিংলাবাড়ি বায়তুল আমান জামে মসজিদে ইফতারের আয়োজন করে মসজিদ কমিটি। ইফতার বিতরণের কালে একই গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে বাবুকে (১০) ইফতার কম দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে কথাকাটির একপর্যায়ে মসজিদ প্রাঙ্গণেই মারামারি হয়। বিষয়টি মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম মাগরিবের পর মিমাংসা করার আশ্বাস দেন। নামাজ শেষে সভাপতিসহ অন্যান্যরা মসজিদের বাহিরে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় শহিদ মিয়ার ছেলে হাবিবুল্লাহ একটি লাঠি নিয়ে এসে আচমকা মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়।

আহতদের চিকিৎসার জন্য দেবিদ্বার উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কমপ্লেক্সের ভিতরে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আরও ৫/৬ জন আহত হয়। এসময় সংবাদ সংগ্রহ এবং ছবি ও ভিডিও ধারন করতে গেলে সংঘর্ষকারীরা দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি শাহীন আলম ও বাংলার আলোড়ন পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল আলিমের ওপর হামলা করে এবং আব্দুল আলীমের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। হামলায় আহত সাংবাদিক শাহীন আলমসহ গুরতর আহতদের দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ইফতার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ মঙ্গলবার দেবিদ্বার থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। ভিংলাবাড়ি গ্রামের মোঃ আবু তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ জসিম বাদি হয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম সহ ১১ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। অপর পক্ষে মোঃ তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন।

দেবিদ্বার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে দুটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেবো।