নাঙ্গলকোটে ভূয়া কমিটি দেখিয়ে বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি ।।
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের বাইয়ারা জয়নাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ভরাটের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে উন্নয়ন বরাদ্দের ৪ টন গম ভূয়া কমিটি দেখিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে শো-কজ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ২০২২/২৩ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের বাইয়ারা জয়নাল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য ৪টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য জমা দেয়া প্রকল্প কমিটিতে ভুয়া পদবী ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আতিকুর রহমান ও বিদ্যোতসাহী সদস্য শাহজাহান সাজু সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে।

কমিটির সভাপতির পদে প্রধান শিক্ষকের স্থলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সিনিয়র শিক্ষক আতিকুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক, সেক্রেটারির স্থলে বিদ্যালয় বিদ্যোতসাহী সদস্য শাহ জাহান সাজু, সদস্যের স্থলে অভিভাবক সদস্য জালাল আহমদ ও বিদ্যালয় অফিস সহকারী গোলাম মোস্তফাকে শিক্ষক দেখিয়ে প্রকল্প কমিটি জমা দিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে নেয়। এছাড়াও এ প্রকল্প কমিটির অন্য সদস্য হলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াস।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক পরিচয়দানকারী আতিকুর রহমান বলেন, সাজুর কথা বিশ্বাস করে আমারা স্বাক্ষর দিয়েছি। কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে, কত টাকা খরচ করা হয়েছে এ বিষয়ে অবগত নই। বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে পরামর্শ করার জন্য আমি সাজু কে বলেছি। এই বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আমাদেরকে শোকজ করেছে।

শাহজাহান সাজু বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় আতিকুর রহমানকে প্রধান শিক্ষক দেখিয়ে এবং আমাকে ভুলক্রমে শিক্ষক দেখিয়ে প্রকল্প কমিটি জমা দেয়া হয়েছে। এতে দোষের কিছু দেখছি না। প্রকল্পের কাজ কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে সেটি মূল বিষয়।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সুমন বলেন, আমার সাথে কোন রকম আলোচনা ব্যতিরেক নিয়ম বহির্ভূতভাবে তারা এ কাজটি করেছে। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান বলেন, আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলাম, বিষয়টি আমার মনে পড়ছে না। বিষয়টি জেনে পরবর্তীতে আপনাকে জানাবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।