জাহিদ হাসান নাইম।।
‘বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তারুণ্যের ভাবনা’ বিষয়ক টক শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে এ টক শো অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক, সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক শাহাজাদা এমরানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সান মেডিকেল সার্ভিসেস এর পরিচালক ডা. মোঃ আবদুল লতিফ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী জোবাইদা ইয়াসমিন মুমু।
এসময় টকশো তে, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তারুণ্যের ভাবনা ও আগামীর বাংলাদেশ পুনর্গঠন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উঠে এসেছে।
আলোচনার এক পর্যায়ে, ডা. মোঃ আবদুল লতিফ বলেন,
বাঙ্গালী আসলেই একটি বীরের জাতি। বুক পেতে বুকে বুলেট নেয়ার সাহস বীরের জাতিরা ছাড়া আর কেউ পারে না। কিন্তু, এই বীরের জাতি বারে বারে তাদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেও তার সুফল তারা পায় নি। ৭১ সালে তরুণরা যুদ্ধ করেছিলো বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে, কিন্তু তারা সেই সুফল পায় নি। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে সেই বৈষম্য কিন্তু দূর হয় নি। আমরা দেখেছি এই দেশের চেয়ারে বসে দেশের জনগণের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দেশের ছাত্র জনতা এই বৈষম্যের থেকে মুক্তি চায়। আমাদের তরুণরা ইতিমধ্যেই আমাদেরকে একটি পথের ঠিকানা দিয়েছে। সেইভাবেই আমাদের এগুতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে তরুণরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, আগামীতেও তারা বৈষম্যহীন দেশ গঠনে কাজ করবে। কারণ, ছাত্ররাই এই দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে পারবে। কারণ, দেশ একটি লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত হয়েছিলো। দেশের এই বৈষম্যগুলো দূর করতে হবে। ড. ইউনূসের সফলতার উপর এই দেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। এই যাত্রায় আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আছি।
জোবাইদা ইয়াসমিন মুমু বলেন, বিগত দিনগুলোর কথা সবাই জানে। ৭১ সালে যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলো মুক্তিকামী জনতা, সেই বৈষম্য কিন্তু সব জায়গাতেই ছিলো। বৈষম্য দূর হোক নিজের ঘর থেকে। পিতা-মাতারা যদি সন্তানকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকার শিক্ষা দেয়, তাহলেই ধীরে ধীরে দেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে বৈষম্য দূর হয়ে যাবে। সবার আগে আমাদেরকে দেশ সংস্কার করতে হবে, তার পর ব্যক্তি সংস্কার। দেশ সংস্কারের জন্য আপনাকে ক্ষমতায় বসতে হবে, নিজ নিজ জায়গা থেকে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে লুটেরাদের হাত থেকে বাঁচাতে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসভিত্তিক রাজনীতি চাই না। আমাদের ছাত্র সংসদ থাকবে কিন্তু ছাত্র সংসদকে ঘিরে কোনো ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না। আমাদের দেশটা এমন হয়েছিলো যে ১৬ বছরে ব্যাপক দূর্নীতি হয়েছিলো। সেই ১৬ বছরের বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাকে ১ মাসে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তারপরেও, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যতটুক পেরেছেন করেছেন। আমাদের সবাইকে এই যাত্রায় একসাথে কাজ করতে হবে।