পিডিবি ফেনীর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নোয়াখালীতে সহকর্মীর মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি ।।
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ফেনী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমদাদ উল্যাহর (৩৬) বিরুদ্ধে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানায় সহকর্মী এক প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে পিডিবির বসুরহাট বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মামলাটি করেন। এতে বসুরহাট পৌর যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পিডিবির উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তবে এ মামলায় কোনো আসামিকে আটক করা যায়নি।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সদস্য মো. খোকন (৩৬), পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শিপন শাহরিয়ার (৩২), সদস্য টিপু (৩৩)। এছাড়া ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিও করা হয়েছে।

মামলার বাদী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অনুমোদনহীন বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা আমাকে বেদম মারধর করে। পরে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার বড়রাজাপুর গ্রামে আটক করে দ্বিতীয় দফায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং আমার মাথার চুল কেটে দেয়।

সহকর্মীকে মামলায় আসামি করার বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, বসুরহাট কার্যালয়কে না জানিয়ে ফেনীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমদাদ উল্যাহ অবৈধভাবে সরকারি খুঁটি স্থাপন করছিল। এতে আমি বাধা দেওয়ায় তার নির্দেশে আসামিরা আমার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

এদিকে, এ ঘটনায় সহকারী প্রকৌশলী মো. হারুন, আবাসিক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমদাদ উল্যাহকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফেনী বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্তৃপক্ষ। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।

তবে এতে অভিযুক্ত এমদাদ উল্যাহকে সদস্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, অভিযুক্তকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এ কমিটি পরিবর্তন করে সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।

এদিকে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমদাদ উল্যাহ বলেন, খবর পেয়ে আমরা আক্রান্ত উপসহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। কিন্তু তিনি মামলায় আমাকে কেন আসামি করেছেন তা আমি জানি না। তাছাড়া সহকর্মী হিসেবে আমি তার ওউপর হামলায় জড়িত থাকতে পারি না।

এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলামকে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পুষ্পবরণ চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।