পুত্রবধূর নির্যাতনে লজ্জা, প্রাণ দিলেন শাশুড়ি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পুত্রবধূর শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় আত্মহত্যা করছেন শাশুড়ি ফাতেমা বেগম।

রোববার বিকেলে উপজেলার উত্তরচর আবাবিল ইউপির দক্ষিণ গাইয়ার চর গ্রামের আখনবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ফাতেমা বেগম আখন বাটির মৃত আবদুল আলীর স্ত্রী। অভিযুক্ত পুত্রবধূ সেলিনা কাতার প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।

হায়দারগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) সুরেনজিৎ বড়ুয়া বলেন, দুই বছর আগে ছেলে ইসমাইল কাতারে চাকরি করতে যান। এরই মধ্যে তার স্ত্রী সেলিনা বিভিন্ন অজুহাতে মায়ের সঙ্গে কলহে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি কারণে-অকারণে শাশুড়িকে মারধরও করতেন পুত্রবধূ।

রোববার সকালে ইসমাইলের পাঠানো সংসার খরচ নিয়ে তারা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে শাশুড়িকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন পুত্রবধূ। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে শাশুড়ি ঘরের দরজা বন্ধ করে কীটনাশক পান করেন।

দুপুরের দিকে ফাতেমার ভাই প্রবাসী নুরুল আমিন তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে তিনি বোনের সঙ্গে কথা বলতে ফোন নিয়ে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে বলেন। কিন্তু ফোন নিয়ে গিয়ে তিনি দরজা বন্ধ দেখতে পান। ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় জানালা দিয়ে দেখেন, ফাতেমা খাটে পড়ে আছেন। তার মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে ফাতেমার মেয়ে আমেনা বেগম ও ভাই সবুজ হোসেন জানালা দিয়ে দরজার ছিটকানি খুলে ঘর থেকে মরদেহ বের করেন।

তিনি আরো বলেন, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে। পূত্রবধূর হাতে নির্যাতনের ঘটনায় অপমান সহ্য করতে না পেরে বৃদ্ধা কীটনাশক পান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত সেলিনা পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।