পুলিশি বাধায়ও বরুড়ায় ভোটকেন্দ্র বাতিল ও স্থানান্তরের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

বিএনপির সাবেক এমপির ভোটকেন্দ্র এখন আওয়ামী লীগের এমপির বাড়িতে
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

পুলিশি বাধায়ও কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সোনাইমুড়িতে ভোটকেন্দ্র বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়া ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে উপজেলার একবাড়িয়া বাজারেও। গতকাল শনিবার সকালে পৃথক ওই কর্মসূচি হয়।
খসড়া তালিকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমনের সোনাইমুড়ি গ্রামের ভোটকেন্দ্র বাতিল করে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুলের গ্রামের বাড়ির ভোটকেন্দ্রে নেওয়া হয়। বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুলের ঘরের সামনে ওই ভোটকেন্দ্র।
জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এতে কুমিল্লা-৮( বরুড়া) আসনের বরুড়া উপজেলার সোনাইমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র বাতিল করে আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় সোনাইমুড়ি বাজারে জগৎপুর সড়কের মধ্যে ব্যানার নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে বাধা দেয়। তখন আফজল হোসেন নামের এক বিএনপির কর্মীকে আটক করে। পরে পুলিশ বাজারে জটলা করবে না এই মর্মে তাঁকে ছেড়ে দেয়।
মানববন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সোনাইমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছেন সোনাইমুড়ি, সাতবাড়িয়া, পদুয়ারপাড়, আদ্রা ও নছরপাড় গ্রামের ভোটারেরা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সোনাইমুড়ি কেন্দ্র থেকে দুইটি গ্রাম নিয়ে আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র হয়। এরপর থেকে আদ্রা ও নছরপাড়ের ভোটারের ওই ভোটকেন্দ্র ভোট দেন। আদ্রা কেন্দ্রে ভোটার ১ হাজার ৪০৬ জন। সোনাইমুড়ি কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৬৭৭ জন। এখন বড় কেন্দ্র বাদ দিয়ে আমাদের কে ছোটকেন্দ্রের সঙ্গে দেওয়া হয়। একটা কেন্দ্র তো এভাবে বাতিল করতে পারে না কমিশন। বর্তমান এমপি সাহেব ওনার আদ্রা কেন্দ্রে ভোট দিক। আমাদের বিএনপি নেতা সুমন সাহেব সোনাইমুড়িতে ভোট দেবেন। সোনাইমুড়ি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এখানে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বাজার সবই আছে। আদ্রা কেন্দ্র অনেকে ভেতরে , একপ্রান্তে। অবিলম্বে এই তালিকা প্রত্যাহার করতে হবে।’
এদিকে বেলা সাড়ে ১১ টায় বরুড়া উপজেলার একবাড়িয়া বাজারে ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন গনকখুলী ও হরিশাপুরা এলাকার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে শত শত মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে অংশ নেন আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন পাটোয়ারী, ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য মিজানুর রহমান ও বরুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রুহুল আমিন পাটোয়ারী। তাঁরা একবাড়িয়া কেন্দ্রে থাকতে চান। নতুন নরিন্দ্রপুর কেন্দ্রে যেতে চান না।
বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এহসানুল কবির ফেরদৌস বলেন,‘ এটা খসড়া ভোটার তালিকা। সংক্ষুদ্ধরা খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকার উপর দাবি, আপত্তি জানাতে পারবেন ৩১ আগস্টের মধ্যে।