বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তা, ঘরবাড়ি সংস্কারের দাবি জনগনের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া গ্রামের গোমতীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে দীর্ঘ পনের দিন পানিবন্ধি থাকতে হয় সেখানের বাসিন্দাদের। দীর্ঘ সময় ডুবে থাকার ফলে সেখানের রাস্তাগুলোতে ফাটল ধরে। মাটির সাথে মিশে যায় বসতবাড়ি। আবাদি ফসল সব হারিয়ে যায় বানের স্রোতে। আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছেন গৃহহীন মানুষেরা। শিশু ও বয়স্কদের বাড়ছে রোগব্যাধি। বন্ধ আছে স্কুল পাঠদান। বুড়িচং উপজেলারনানুয়ার বাজার থেকে আগানগর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় ৬ টি গ্রামের প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষের চলাফেরা। তাদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তাটি এখন ভেঙে অস্তিত্বহীন। পুরো রাস্তা যেন খুলে তুলে নিয়ে গেছে কেউ। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ভুগান্তির যেন শেষ নেই। প্রবল স্রোত কেড়ে নিয়েছে বন্যাকবলিত মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা ও বাসস্থান। নষ্ট হয়েছে আবাদি জমি। খামারিদের জীবনে নেমে এসেছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। মাথাগুজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে নিঃস্ব মানুষগুলা এখন পুনর্বাসনের অপেক্ষায় আছে। রাস্তাঘাট ভেঙে যাতায়াতে দেখা দিয়েছে দূর্দশা। চুলায় জ্বলছে না আগুন। ত্রাণের খাবার খেয়ে কোনরকম দিন পার করছে সেখানকার মানুষ। তাদের সহযোগিতায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ হাত বাড়িয়ে আসলেও এখনো পূনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। বেড়াজাল গ্রামের বাসিন্দা ফরহাদুজ্জামান রনি বলেন, পানি আসার ফলে রাস্তাসহ ঘরবাড়ি ডুবে গেলে আমরা অন্যত্রে আশ্রয় নেই। পানি কমলে বাড়িতে ফিরলেও ঘরবাড়িগুলা বসবাসের অযোগ্য হয়ে আছে। সেই সাথে ঘর থেকে বের হয়ে কোথাও যেতে পারি না। আমাদের ওকমাত্র রাস্তাটি ভেঙে পানির সাথে মিশে আছে। আমাদের এই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার চাই। বাধ ভেঙে গেলে সবাই নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে বের হয়ে যান আশ্রয়ের সন্ধানে। ১৫/১৬ দিন পর এসে দেখেন মাথা গুজার ঠাইটুকু মিশে গেছে মাটির সাথে। বাড়িতে যেতে পারছে না কাদামাটির কারনে। চুলায় জলছে না আগুন। নিঃস্ব অবস্থায় সাহায্যের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে বুড়িচংয়ের নানুয়ার বাজার এলাকার মানুষ। প্রাপ্তবয়স্ক ছলে-মেয়ে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রেও থাকতে পারছেন না। নানুয়ার বাজার এলাকার এক গৃহবধু বলেন, আমি আমার বাড়ি ছেড়ে যাইতে চাচ্ছিলাম না। আমারে জোর করে ছলেমেয়েরা নিয়ে গেছে। এখন আমার সবকিছু মিশে গেছে মাটির সাথে। মাথাটুকু রাখার মত একটা আশ্রয় যেন আমার হয়। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই। আমার প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে আছে। আমি মেয়েকে নিয়ে আশ্র্যকেন্দ্রে থাকতে পারতেছি না। আমার একটা ঘর করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।