কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুমি আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূ কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।গত শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চন্ডিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুমি আক্তার পশ্চিম চন্ডিপুর সরকার বাড়ি এলাকার মতিউর রহমান সরকারের ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলার জগৎপুর (মধ্যপাড়া) এলাকার অদু মিয়ার মেয়ে।
নিহতের মা পারুল আক্তার জানান, গত তিন বছর পূর্বে মনির হোসেনের সাথে বিয়ে হয় আমার মেয়ে রুমি আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই মনির হোসেন তার পরকীয়ার সম্পর্কের কারণে আমার মেয়ে রুমি আক্তার কে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে পূর্বে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। এর পরেও মনির হোসেন তার পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসেনি। বরং সে বিভিন্নভাবে আমার মেয়ের উপর নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে মনির হোসেনর নির্যাতন সইতে না পেরে আমার মেয়ে উপায়ান্তর না পেয়ে সকলের অগোচরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আমার মেয়ে ৪ মাসের অন্তঃ সত্ত্বা ছিল৷ এ সময় তার পরিবারের লোকজন তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আমার মেয়ে রুমি আক্তার মারা যায়।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, আমরা খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী মনির হোসেন তাকে প্রায় সময়ই নির্যাতন করতো বলে জানায় নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷