ছাত্র আন্দোলনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট খেলছিলেন সাকিব। ওই সময় দেশের অনেক ক্রিকেটার ‘সহিংসতা বন্ধ’ ও ‘শান্তির সপক্ষে’ পোস্ট দিলেও তিনি নিরব ছিলেন। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার রাতে সাকিবের বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, সাকিব আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছিলেন। আমি বলেছি উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে কথা বলতে যেহেতু এটা আমার ব্যাপার না।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সাকিবের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসেনি। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ হয়ে থাকতে পারত। কিন্তু যখন আন্দোলন চলছে, মানুষ মরছে, ঘরে ঘরে কান্না, ক্ষোভ-কষ্ট সাকিব তখন পোস্ট দিল সে কোথাও এনজয় করছে এমন। এটা সম্ভব একটা মানুষের পক্ষে?
তিনি বলেন, এ ছাড়া যে সমস্ত জুয়া, বেটিং, উশৃঙ্খল আচরণ…। আমার মনে হয়ে এটার জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী। এমন একটি রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যে শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত থাকলে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন, আপনার শাস্তি হবে না। এটা অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকেও (সাকিব) করেছে। মায়া লাগে কিন্তু তার প্রতি মানুষ যে ক্ষোভ দেখায় সেটি একটুও অযৌক্তিক লাগে না।
টেস্ট খেলতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসার কথা ছিল সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পর্যন্ত চলে আসলেও দেশে আরও আসা হয়নি তার। দেশে ‘নিরাপত্তাঝুঁকি আছে’ উল্লেখ করে সেখান থেকে দেশে আসবেন না বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সাকিব। পরে জানা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া।