মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অভিযোগে লাজ ফার্মাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। আজ রবিবার (২ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
মো: আছাদুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতি মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত নামের একজন ভোক্তার লিখিত অভিযোগ করেন মেসার্স লাজ ফার্মা মেয়াদহীন ঔষধ বিক্রি করে। তিনি ক্রয় রশিদসহ লিখিত অভিযোগ করেন। শুনানিতে উভয় পক্ষ উপস্থিত ছিলো। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর এলাকার মেসার্স লাজ ফার্মাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযোগকারী প্রণোদনা হিসেবে ১২,৫০০ টাকা পান।
অভিযোগকারী মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীর জন্য লাজ ফার্মা থেকে দুই হাজার দুইশত টাকার ঔষধ ক্রয়কারী। মোট ১২ আইটেম ঔষধের মাঝে একটি ঔষধ ছিলো মেয়াদহীন। ১৪ পিস ঔষধের দাম ৭০০ টাকা। সে ঔষধ সেবনের ফলে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে যান। তিনি সন্তান সম্ভাবা ছিলেন। মেয়াদহীন ঔষধ সেবনের ফলে নির্ধারিত সময়ের ছয় সপ্তাহপূর্বে ৩২ সপ্তাহে সন্তান প্রসব করতে হয়েছে।
আমি ৫ ফেব্রুয়ারি ভোক্তা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করি। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুনানী হয়। আজ ২ এপ্রিল অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
লাজ ফার্মা কুমিল্লা শাখার ম্যানেজার শুভ ঘোষ জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে এ কাজটি করা হয়েছে। তিনি আমাদের ঔষধ কিনেছেন ঠিক। এ সিরিয়ালের একই কোম্পানীর আরো ঔষধ কুমিল্লার বিভিন্ন ফার্মেসীতে আছে। মেয়াদহীন ঔষধ যদি আমার গোডাউন বা ফার্মেসী পেয়ে জরিমানা করতো, তবে বিষয়টা ঠিক ছিলো। আমাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। অভিযোগকারী ১২ হাজার টাকা পেয়েছে, তিনি টাকার জন্য অভিযোগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।