যানজট এড়াতে ২৯১ কি.মি সাইকেলে চড়ে কুবি শিক্ষার্থীর বাড়ি ফেরা

ঈদের ছুটিতে সড়কের যানজট এড়াতে দুই চাকার সাইকেলে চড়েই কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরেছেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাঁর বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুরে। যাত্রাপথে তিনি পাড়ি দিয়েছেন ২৯১ কিলোমিটার।
এ পথ পাড়ি দিতে সর্বমোট ৩১ ঘন্টা সময় নিলেও সাইকেল চালিয়েছেন ১৯ ঘন্টা ১৪ মিনিট। বাকি সময় যাত্রাবিরতি ও বন্ধু-শুভাকাঙ্খীদের সাথে মতবিনিময় করতে ব্যয় করেছেন তিনি।
গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের ফটক থেকে যাত্রা শুরু করে সোমবার (১৭ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছান তিনি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরা। বিভিন্ন ব্যস্ততায় তা কখনো হয়ে উঠেনি। তবে ঈদযাত্রায় সড়কে যানজট ও ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই আমি অনেকদিন আগে থেকেই এ ঈদে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেজন্য গত তিন মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ছোটবেলা থেকেই সাইক্লিংয়ের শখ তাঁর। স্কুল-কলেজে থাকাকালীন সাইকেলে চড়েই যাতায়াত করতেন তিনি। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ে এসে যুক্ত হোন বিশ^বিদ্যালয়ের সাইক্লিং গ্রুপ ‘সিওইউ সাইক্লিস্ট’ এর সাথে। বিশ^বিদ্যালয়ে আসার পর থেকেই তাঁর দুঃসাহসিক অভিযানগুলোতে সবসময় সহযোগিতা করে গেছে সংগঠনটি।
মামুন এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে খাগড়াছড়ি ও গত বছরের জুনে ৩৬৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন সময়ই আরও অনেক দূরের পথ অতিক্রম করেছেন। এ সবক’টি যাত্রাই তিনি কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয় থেকে শুরু করেছিলেন।
ভবিষ্যতে সাইকেলে চড়ে দেশের বাইরে ভ্রমণ করার ইচ্ছা আছে জানিয়ে মামুন বলেন, রাইড করার অভিজ্ঞতা খুবই দারুণ। পথে পথে মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ হই। তবে এবারে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সুস্থ্য থাকাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবু মনের জোরে সফল হতে পেরেছি।
নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে মামুন দিয়েছেন এক দর্শনও। তিনি বলেন, প্রতিটি কাজই কঠিন মনে হবে। তবে কোনোকিছু অর্জন করার অদম্য স্পৃহা ও কর্মপ্রচেষ্টা থাকলে যেকোনো লক্ষ্যেই পৌঁছা সম্ভব।