নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, বাড়ছে সংঘাত ; সাক্কুর উঠান বৈঠকে ককটেল বিস্ফোরণ এবং রেড রুফ ইন হোটেল ভাংচুরের অভিযোগ

# প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে- রিটার্নিং কর্মকর্তা # অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো-ওসি
মোস্তাফিজুর রহমান ।।
প্রকাশ: ২ মাস আগে

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর উঠান বৈঠকে ককটেল বিস্ফোরণ এবং রেইসকোর্সের তার মালিকানাধীন রেড রুফ ইন হোটেল ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই পৃথক দুই ঘটনায় আহত হয়েছে ৬ জন। মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নিজেই এ ঘটনার অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ৯নং ওয়ার্ড বাগিচাগাঁও এবং রেইসকোর্সে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ঘড়ি প্রতীকের সমর্থকরা জানায়,গতকাল সোমবার সকাল থেকেই বাস প্রতীকের সমর্থকরা উঠান বৈঠক বানচাল করতে আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমরা সব কিছু উপেক্ষা করে এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করি। উঠান বৈঠক চলা অবস্থায় তারা এখানে ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল নিক্ষেপে আমাদের দুইজন মহিলা আহত হয়েছে।
অপর দিকে, রেড রুফ ইন হোটেলে হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বিকেলে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
এ বিষয়ে ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার উঠান বৈঠকের বিষয়টি আগেই নির্বাচন কমিশন এবং থানার ওসিকে নিরাপত্তার জন্য চিঠি দিয়ে রেখেছি। কিন্তু তারা কোন নিরাপত্তা দেয়নি। আমার রেড রুফ ইন হোটেলে ভাংচুর করে এবং আমার লোকজনের উপরে হামলা করে। বাগিচাগাঁও আমার উঠান বৈঠক পূর্বের নির্ধারিত। বাস প্রতীকের প্রার্থীরা সেখানে ককটেল ফুঠিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। উভয় ঘটনায় আমার অনেক লোক আহত হয়েছে। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এবিষয়ে জানতে বাস প্রতীকের প্রার্থী ডা. তাহসীন বাহার সূচীকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
বাস প্রতীকের চীফ এজেন্ট ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, কেউ হামলা না করলে তো কেউ হামলা করে না। আমি যতটুকু জানি সেখানে আমাদের এক মহিলা কর্মীর উপরে তারা হামলা করেছে। যার ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। আর ককটেল বিস্ফোরণ কে করেছে সেটা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসেনকে ফোন করলে তিনি বলেন, সেখানে ককটেল ফুঠায়নি পুলাপাইন বাজি ফুঠিয়েছে। ঘটনার ২ মিনিটের মধ্যে আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা সুন্দর করে প্রোগ্রাম শেষ করেছে। তারপরেও যদি এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করে তাহলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
পরিদর্শনে আসা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিকা সুলতানা বলেন, আমরা বিষয়টা দেখতে আসছি। যা বলার স্যার বলবেন।
এবিষয়ে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ করতে ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নিজে এসেছেন। ঘটনার মামলা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।