রাতে ইলিশের দামে কিছুটা স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

উপকূলীয় জেলা বরগুনার নদীগুলোতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই কমছে দামও। খুচরা বাজারে আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১৬০০ টাকায়। তবে দিনের তুলনায় রাতে দাম কিছুটা কম থাকে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে অন্যদিনের তুলনায় ইলিশের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতা।

বিকেল থেকেই বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। যে কারণে দামও আগের চেয়ে কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, স্থানীয় নদীর ইলিশ বাজারে ওঠে তাই দিনের তুলনায় রাতে দাম কম থাকে। মাছের বাজারে এখন ইলিশের ক্রেতা বেশি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৪৫০ টাকা, ১ কেজি থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭৫০ টাকা, ৪০০-৪৫০ গ্রাম ওজনে ইলিশ ৬০০ টাকা, ২২০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ টাকা। শুধু রাতে এ দামে ইলিশ বিক্রি হয়। সকালে দামের পরিবর্তন হয়।

বরগুনা পৌর মাছ বাজারে খুচরা ইলিশ বিক্রেতা মো. শাহ আলম ও রফিক বলেন, আমরা আড়ত থেকে কম দামে মাছ কিনলে খুচরা বাজারেও কমে বিক্রি করি। ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কম থাকে। অনেক সময় চাহিদার ওপরও দাম ওঠানামা করে। তবে স্থানীয় জেলেরা বেশিরভাগ বিকেলে মাছ নিয়ে আসে বাজারে। এজন্য রাতে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকে এবং দাম কম থাকে।

বরগুনা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা এমদাদুল খান বলেন, রাতে ইলিশসহ সব মাছের দাম কম থাকে। তাই আমি সবসময় রাতে মাছ কিনি। স্থানীয় নদীগুলোর মাছ তাজা তাই চাহিদা বেশি। আমি ৬০০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি ইলিশ কিনলাম। আমার মতো অনেকেই রাতে মাছ কেনেন। এ সময় তার কথার সমর্থন জানিয়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার মুন্সি।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ইলিশের মূল মৌসুম সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। তবে অনেক সময় নদীতে পানিপ্রবাহ ভালো হলে আগেই ইলিশের মৌসুম শুরু হয়। এবারও তাই হচ্ছে। স্থানীয় নদীগুলোতে প্রচুর পরিমাণ বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দিনের বেলায় ইলিশ মাছ শিকারের পর বিকেল ও সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় ছোট বড় বাজারে বিক্রি করেন জেলেরা। আগের তুলনায় দামও কমেছে মাছের।

তিনি আরও বলেন, জেলেরা আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। তাদের অনেকে এখন নিষেধাজ্ঞা মানছে। এখন নিষেধাজ্ঞার সুফল পাচ্ছেন জেলেরা। এ বছর মা ইলিশ গতবারের চেয়ে ৬০-৬২ শতাংশ বেশি ডিম ছেড়েছে।