শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করছেন কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনসট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম।
রবিবার দুপুর তিনটার দিকে একটি সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ দুর্নীতির বেশ কিছু অভিযোগ আছে।
পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করলাম। বিষয়টি সদয় বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হলো।
এ ব্যাপারে আকবরী খানম বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পরবর্তী যে পদক্ষেপ নেবে তিনি তা মাথা পেতে নেবেন।
সরজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণে স্লোগান দেন ‘আকবরী খনমের পদত্যাগ’এর দাবিতে। পরে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা ভেতরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে দুর্নীতির দায় স্বিকার করে পদত্যাগ করেন কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফাই কলেজের ইনট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরি খানম।
জানা যায় , গত বৃহস্পতিবার কলেজের শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে আর্šÍকোন্দল তৈরি করে দেন ইনচার্জ।ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। অবশেষে তারা সুস্থ হয়ে ফিরে কলেজের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা মিলে তার পদত্যাগের দাবি তুললে তিনি তার অপকর্মের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন।
কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কলেজের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের শিক্ষার্থী ইসরাফিল বলেন, উনার প্রতিটা সিরায় উপসিরায় দুর্নীতি। আমরা প্রথম বর্ষে এসে যা দেখেছি এখনো প্রায় তা’ই দেখতে পাচ্ছি।কোন উন্নতি বা অগ্রগতি হয়নি। আরো অবনতি হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার।তাই আমরা চাইনা এই মহা দুর্ণীতিবাজ এই ইনট্রাক্টর ইনচার্জ এই কলেজে থাকুক।
একই কলেজের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মিতু জানায়, আমরা চাই উনি সব দুর্নীতির টাকার হিসাব দিয়ে কলেজ থেকে ত্যাগ করুক। উনার পদত্যাগে উনার সকল সহকর্মী ভীষণ খুশি এবং তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
পদত্যাগ করে আকবরি খানম বলেন, আমি আগে থেকেই আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি, আমি এখানে থাকবনা। তবুও শিক্ষার্থীরা যেহেতু চাইছে পদত্যাগ তাদের সামনে করতে তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।