সাদামাটাভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে কুবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

মহিউদ্দিন মাহি, কুবি ||

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৮ মে। রোজা, গ্রীষ্ম ও ঈদের ছুটির কারণে গেল কয়েক বছরই দিবসটি উদযাপন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। পাঁচ বছর পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকার দিনেই দিবসটি হওয়ায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদযাপনের প্রত্যাশা করেছিলেন তারা। তবে শুধুমাত্র র‍্যালি ও আলোচনাসভার মাধ্যমেই দায়সারাভাবে দিবসটি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৫ মে) কুবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২’ অনুষ্ঠানসূচিতে র‍্যালি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো ও কেক কাটা এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনার উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিটি দেখার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাংস্কৃতিক কর্মী, ছাত্রলীগসহ শিক্ষার্থীরা।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম ইনজামাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে এক ধরণের ফেসিনেশন কাজ করে। কিন্তু কুবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়ার তোয়াক্কা না করে দিবসটি দায়সারাভাবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি চরম হতাশার ও লজ্জাকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকিয়েদের সংগঠন বৃত্ত কুবির টিম এডভাইজার মুনিম হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে একপ্রকার ঠাট্টা করেছে। গত কয়েকবছর রমজান এবং অন্যান্য বন্ধের কারনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমরা খোলা ক্যাম্পাসে পাই নি। এবছর প্রতিটি শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তারা নামমাত্র র‌্যালি আর কেক কেটে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী উপাচার্যের সাথে দেখা করে ১১ দফা দাবি পেশ করেছিলাম। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবীকে নূন্যতম কর্ণপাত না করেই স্বেচ্ছাচারী মনোভাব প্রকাশ করেছেন। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস এভাবে কোন আয়োজন ছাড়া পালন হবে এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে দিবসটি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, দিবসটি উদযাপনে আমরা একজন মন্ত্রীকে আনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদেরকে বাজেট না দেওয়ায় আমরা এসবের কিছুই করতে পারিনি।