পরে বাধ্য হয়ে যোগাযোগ করেন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যে চোখ কোপালে উঠে সামনা বেগম ও তার স্বজনদের। জানতে পারেন তিনি আর বেঁচে নেই। যদিও তিনি সশরীর উপস্থিত। নিজের কানে নিজের মৃত্যুর খবর শুনে রীতিমতো হতভম্ব সামনা বেগম।
সামনা বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে সমাজসেবা অধিদপ্তরে একটি আবেদন করার চেষ্টা করে আমার ছেলে; কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে নাকি আমি মারা গেছি। আমি জীবিত হতে চাই। সামনা বেগমের ছেলে মো. ওমর ফারুক জানান, তার মা সামনা বেগম জীবিত রয়েছেন। অলনাইনে আবেদন করতে গেলে সব তথ্য দেওয়ার পর জাতীয় পরিচয়পত্র ভেরিফাই করতে চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছিল না। যাচাই বাছাইয়ে আমার মায়ের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে সার্ভারে দেখাচ্ছিল। পরে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসার পর কর্মকর্তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার চেক করে বলেন- আমার মা মৃত।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি দেখা ছাড়া বলা সম্ভব না। তবে তিনি যদি জীবিত হয়ে থাকেন তাহলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর একটি আবেদন করার পর উনার আঙুলের ছাপ যদি মেলে তাহলে এটি ১-২ দিনের মধ্যে ঠিক করে দেওয়া হবে।