শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে র্যাবের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযানে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মধ্যম কাহারিয়াঘোনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই জন লেফট্যানেন্ট তানজিম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।আজ শনিবার কক্সবাজারে দায়িত্বরত র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাছির উদ্দিন চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের রিজার্ভ পাড়ার ডুমখালীর আবদুল মালেকের ছেলে। আর এনামুল হক একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ডুলাহাজারা মাইজপাড়ার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বাড়িতে ডাকাতির খবরে যৌথবাহিনীর অভিযান টিমের ইনচার্জ লে. তানজিম সরোয়ার নির্জনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী রাত সাড়ে ৩টার দিকে যায়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ধাওয়া করে নাছির উদ্দিনকে ধরে ফেলেন। পরে গ্রেপ্তার নাছির উদ্দিনসহ আরো দুই থেকে তিনজন ডাকাত তানজিমকে ধারালো ছুরি দিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।